Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বাবুল-বিতর্কে চিন্তায় নবান্ন

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে থানায় ডাকা নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষার অফিসের চিঠিতে বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। কারণ, লোকসভার সচিবালয়ের প্রিভিলেজ অ্যান্ড এথিক্স শাখা যে ভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র রিপোর্ট তলব করেছে, তাতেই আশঙ্কিত নবান্ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৪
Share: Save:

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে থানায় ডাকা নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষার অফিসের চিঠিতে বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। কারণ, লোকসভার সচিবালয়ের প্রিভিলেজ অ্যান্ড এথিক্স শাখা যে ভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র রিপোর্ট তলব করেছে, তাতেই আশঙ্কিত নবান্ন।

রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এমনই এক ঘটনায় ২০১১ সালে উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব কানোয়ার ফতে বাহাদুর, রায়বরেলির জেলাশাসক চরণজিৎ সিংহ বকসি ও পুলিশ সুপার পি কে মিশ্রের শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীন কেন্দ্রীয় পার্সোনেল শাখাকে সুপারিশ করেছিল প্রিভিলেজ অ্যান্ড এথিক্স শাখা। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘কলকাতার পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট লোকসভায় পাঠানো হবে। তবে, সরকার মনে করে তদন্তের স্বার্থে যে কোনও ব্যক্তিকে থানায় ডাকা যেতে পারে। আশা করি, পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকবে।’’ তবে উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ যে তাঁদের চিন্তায় রেখেছে, তা স্বীকার করেছেন ওই কর্তা।

কী হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে? সূত্রের খবর, রায়বরেলীর জেলার দলমাওয়ে গঙ্গার উপরে ‘সেন্ট্রাল রোড ফান্ড’-এর টাকায় একটি সেতু তৈরি হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে, স্থানীয় সাংসদ তথা ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী ওই সেতুর উদ্বোধন করবেন। সেই মতো দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সনিয়ার সফরের আগে প্রস্তুতি দেখতে ২০১০-এর মার্চে রায়বরেলী যান তৎকালীন কেন্দ্রীয় সড়ক প্রতিমন্ত্রী আরপিএন সিংহ। অভিযোগ, রায়বরেলীর জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁকে দলমাওয়ের আগে আটকে দেন। তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফিরে আসেন। মন্ত্রীকে যতক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল, তার মধ্যেই তৎকালীন মায়াবতী সরকারের পূর্তমন্ত্রী লখনউ থেকে রিমোট কন্ট্রোলে সেতুর উদ্বোধন সেরে ফেলেন! এর পরে পুরো ঘটনা জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ও প্রিভিলেজ অ্যান্ড এথিক্স কমিটির কাছে অভিযোগ করেন আরপিএন সিংহ।

সেই সময় কংগ্রেস সাংসদ পি সি চাকো ছিলেন ওই কমিটির চেয়ারম্যান। এ রাজ্যের দুই সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী ছিলেন কমিটির সদস্য। সূত্রের খবর, এক বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের একাধিক কর্তার বক্তব্য শুনে শাস্তির সুপারিশ করেন তাঁরা। নবান্নের কর্তারা বলছেন, বিজেপি সাংসদ কিরীট সোমাইয়ার পাশাপাশি বাবুল নিজেও অধ্যক্ষার কাছে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছেন। সেটাই চিন্তার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Babul Supriyo Nabanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE