শুরু হল ‘দ্বিতীয় মুর্শিদাবাদ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী’। উদ্বোধন করেন বিখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী বেণু সেনের ভাই, তথা ‘ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশন অব দমদম’-এর কর্মকর্তা বিশ্বতোষ সেনগুপ্ত। বহরমপুর স্টুডেন্ট হেলথ হোমের দোতলায় অনুষ্ঠিত তিন দিনের ওই সেলন শেষ হবে আগামীকাল সোমবার। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, চিন, জার্মান, ফ্রান্স, ইরান, পর্তুগাল, রাশিয়া-সহ বিশ্বের ৪৪টি দেশের ৩০১ জন আলোকচিত্রীর ৩৪৬৭টি ফটো জমা পড়েছে এই প্রদর্শনীতে। বিচারকমণ্ডলী তার মধ্যে থেকে ১০৩৮টি ফটো প্রদর্শনীর যোগ্য বলে নির্বাচিত করেন। তার মধ্যে ৪৮টি ছবি পুরস্কার পায়।
বিজয়ী ফটোগুলিকে পুরস্কৃত করবে আন্তর্জাতিক ৪টি সংস্থা— ফ্রান্সের ‘ফেডারেশন ইন্টারন্যাশানাল আর্ট ফটোগ্রাফিক’ (এফআইএপি), ‘ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব আমেরিকা’ (পিএসএ), চিনের ‘ইন্টারন্যাশানাল ইউনিয়ন অব ফটোগ্রাফারস’ (আইইউপি) এবং ‘ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফি’ (এফআইপি)। আয়োজক সংস্থা ‘ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব মুর্শিদাবাদ’-এর কর্ণধার পার্থসারথি ধর জানান, সাদাকালো, রঙিন, প্রকৃতি ও ভ্রমণ ফটো—এই চারভাগে ছবিগুলিকে প্রথমে ভাগ করা হয়। তারপর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পাঁচ জন আলোকচিত্র শিল্পীদের বিচারকমণ্ডলী ছবিগুলির গুণগত মান নির্ধারণ করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বহরমপুর শহরে ‘প্রথম মুর্শিদাবাদ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়। সে বার ৪৮টি দেশের ৪৪৪০টি ছবি জমা পড়ে। সে বারও ৪টি বিভাগে ৪৮টি ছবিকে পুরস্কৃত করা হয়।
১৯৬২ সালে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অধিকর্তা ও পরে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম ডেভলমেন্ট কর্পোরেশন অধিকর্তা মৃণাল গুপ্ত, কাশিমবাজার স্টেশনের ম্যানেজার বারীণ রায়, মণীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের শিক্ষক দিলীপ ভট্টাচার্য, ‘স্টুডিও অজন্তা’র মালিক রাজবল্লভ ধর প্রমুখেরা ‘ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব মুর্শিদাবাদ’ গড়ে তোলেন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর ধরে ছবি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা চলে। পরে কারণে ১৯৬৮ সালের পর ‘ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব মুর্শিদাবাদ’-এর কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। অনেক পরে বহরমপুরের পার্থসারথি, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কলকাতার নির্বাহী বাস্তুকার শিবভূষণ দাস এবং এফআইপি-র কোষাধ্যক্ষ অমিতাভ শীল ওই সোসাইটির পুরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত নেন।