বিড়ি শ্রমিকদের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যেই বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়গ্রাম। বুধবার দুপুরে খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর মোড় সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। বোমার আঘাতে জখম হন সাত জন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিন জঙ্গিপুরে তৃণমূল পরিচালিত বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য ওই এলাকায় তৃণমূল সমর্থকেরা শঙ্করপুর মোড়ে বাসে উঠছিলেন। সেই সময় বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সমর্থকদের দু’দলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা থেকে হাতিহাতি এবং শেষে শুরু হয় বোমাবাজি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মধ্যে শুধু ওই পঞ্চায়েত এলাকায় চারটি গোষ্ঠী রয়েছে। ওই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যেই মাঝেমধ্যেই কোন্দল লেগেই রয়েছে। তবে সেটা সব সময় প্রকাশ্যে না এলেও এ দিন জঙ্গিপুরের সভায় যাওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে বাস ভাড়া করা হয়। সেখানে বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়। খানিক পরে শুরু হয় বোমাবাজি। ওই ঘটনায় সাত জন জখম হয়। জখমদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
দলীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি তৃণমূল জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই তালিকায় খড়গ্রাম ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কাশেমকে সরিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য মফিজুদ্দিন মণ্ডলকে সভাপতি করা হয়েছে। তাতেই দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। এ দিনের বোমাবাজি তারই ফল বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের।
যদিও আবুল কাশেম বলেন, “ব্লক সভাপতির পদ থেকে অনেক আগেই ইস্তফা দিয়েছি। তা হলে ফের আমাকে সভাপতি করেনি এমন প্রশ্ন উঠছে কেন বুঝতে পারছি না। আমি পদলোভী নই।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দলকে ভালবাসি। তাই তৃণমূল করি। যাঁরা এ ধরনের কথা বলছেন, বোমাবাজি কারা করেছে সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।”
এ দিকে, বোমাবিজর কথা অস্বীকার করছেন মফিজুদ্দিন। তাঁর দাবি, “সভায় যাওয়ার জন্য বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে সামান্য অশান্তি হয়েছে। কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy