মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে সিপিএম প্রার্থী তুলে নিলে তাঁরাও নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থেকে প্রার্থী তুলে নেবেন। সোমবার রাহুল গাঁধীর জনসভা থেকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। কিন্তু সিপিএম তা নাকচ করে দিল।
জঙ্গিপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা মহম্মদ সোহরাব। তাঁর জয় নিষ্কণ্টক করতে রঘুনাথগঞ্জে বড়শিমুলে রাহুল গাঁধীর উপস্থিতিতেই প্রস্তাব পেড়েছিলেন অধীর। কিন্তু তা শোনা মাত্র খারিজ করে দেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় এখন আর কোনও দলের পক্ষেই প্রার্থী তোলা সম্ভব নয়। তবে শেষ লগ্নের প্রচারে ভোটারদের জানিয়ে দেওয়া সম্ভব যে দলের প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বদলে অন্য কাউকে ভোট দিতে হবে। অধীর এ দিন দাবি করেন, কংগ্রেস এমন কোনও কাজ করেনি যাতে জোটের ক্ষতি হতে পারে। সিপিএমই তাদের হরিহরপাড়া ও ডোমকলে প্রার্থী দিতে বলেছিল, তাই ওই দুই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ভগবানগোলা সিপিএম পেয়েছে, সাগরদিঘি কংগ্রেস। রঘুনাথগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কংগ্রেস পেয়েছে, কারণ সেখানকার দুই বিধায়ক কংগ্রেসের। ভগবানগোলায় সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস, অথচ জোটধর্ম ভেঙে সিপিএম সাগরদিঘি ও জঙ্গিপুরে প্রার্থী দিয়েছে।
অধীর বলেন, ‘‘আমার আবেদন, জঙ্গিপুরে সিপিএম তাদের প্রার্থী তুলে নিয়ে মহম্মদ সোহরাবকে সমর্থন করুক। আমরাও কৃষ্ণগঞ্জ থেকে প্রার্থী তুলে নিয়ে সিপিএমকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করব।’’
মৃগাঙ্কবাবু পাল্টা বলেন, জোটের প্রথম শর্তই ছিল, ভরতপুর-সহ মোট আটটি আসনে বামেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। তা অগ্রাহ্য করে অধীর ডোমকল, হরিহরপাড়া ও সাগরদিঘিতে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। তাঁরা কখনওই কংগ্রেসকে ডোমকল, হরিহরপাড়া ও সাগরদিঘিতে প্রার্থী দিতে বলেনি। তিনি বলেন, ‘‘ওই তিন কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থীদের বসিয়ে সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দিতে বলুক কংগ্রেস। আমরাও জঙ্গিপুর নিয়ে ভাবব।’’ ভোটের দু’দিন আগে এ সব প্রস্তাব দেওয়া অবান্তর বলেও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।