প্রতীকী ছবি।
নির্দেশ অনেক আগেই দিয়ে রেখেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিল সময়ের অপেক্ষা। দলের স্থানীয় মহলে প্রশ্ন ছিল, কবে পদত্যাগ করবেন বীরনগরের পুরপ্রধান? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে পার হয়ে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন বীরনগরের পুরপ্রধান স্বপন দাস।
বেশ কিছুদিন থেকেই তাঁর পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার তিনি রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
মহকুমাশাসক বলেন, “ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওই পুরপ্রধান পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। নিয়ম মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
গত পুরসভা নির্বাচনে জিতে পার্থকুমার চট্টোপাধ্যায় পুরপ্রধান এবং স্বপন দাস উপপুরপ্রধান হয়েছিলেন। কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন কারণে দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় হয়। গত ২৮ জুন ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে পুরপ্রধানের পদ থেকে পার্থবাবু পদত্যাগ করেন। তবে পার্থবাবুর এ ভাবে পদত্যাগ দলের উপর তলার নেতাদের বিস্মিত করেছিল। তাঁরা বিষয়টি ভালভাবে নেননি।
পার্থকুমারের পরে পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধান হয়েছিলেন যথাক্রমে স্বপন দাস এবং গোবিন্দ পোদ্দার। কিন্তু, দলের দশ জন কাউন্সিলর স্বপনের বিরুদ্ধে দলের কাছে প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি প্রদেশ নেতৃত্বকে জানানো হয়। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এখানকার পুরপ্রধান পরিবর্তন করা হবে। দলের নির্দেশে ২৮ জানুয়ারি স্বপনবাবুর কাছে পদত্যাগ করার জন্য দলের পক্ষ নির্দেশ পাঠানো হয়। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে স্বপনবাবুকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগের বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানাতে হবে।
স্বপনবাবু বলেন, “এ ব্যাপারে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। আমি দলের একজন সৈনিক। দল আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছে। আমি সেই নির্দেশ পালন করেছি।” মাত্র ছ’মাস কাটতে না কাটতে কী এমন হল যে, ফের পুরপ্রধান বদলাতে হল? পার্থকুমার বলেন, “ভেবেছিলাম সকলকে নিয়ে স্বপন দাস পুরসভা চালাবেন। সেটা তিনি করলেন না। কাউকে না জানিয়ে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করলেন। বোর্ডকে না জানিয়ে বিল্ডিং তৈরির অনুমোদন দেওয়া-সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেন। যার কারনে তার বিরোধিতা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।” তৃণমূলের অন্দরের খবর, পার্থকুমারকেই ফের পুরপ্রধান করা হবে। কারণ, দলনেত্রীর নির্দেশ তেমনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy