পড়শি এক কিশোরের প্ররোচনায় সাত দিন আগে লালবাগে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা জানিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন থানায় অভিযোগ জমা দিতে গেলে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে শনিবার মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকায় তাঁরা মোমবাতি মিছিলও বের করেন। তার আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়ে গণ-স্বাক্ষর করে মুর্শিদাবাদ থানায় জমা দেন এলাকার লোকজন। তার পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ।
১ মে বিকেলে বাড়িতে আত্মঘাতী হন প্রিয়াঙ্কা রজক (১৬)। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হৈপৎগঞ্জ এলাকায়। প্রিয়াঙ্কার বাবা রানিনগর-১ নওদাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাঞ্চন রজক জানান, পড়শি গৌতম রায়ের ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র কালু তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। ঘটনার দিন বেলা ১২টা নাগাদ কালু তাঁর মেয়েকে মতিঝিল দরগা মোড়ের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাড়ি ফিরেই আত্মঘাতী হয় প্রিয়াঙ্কা।
দিন তিনেক পর মৃতার বাড়ির লোকজন মুর্শিদাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায়। অভিযোগ, পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে। কাঞ্চনবাবু বলেন, ‘‘এখানেই শেষ নয়। মেয়ের শ্রাদ্ধের কাজে আসা পুরোহিত শ্যামল মুখোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার রাতে গৌতম ও তাঁর ছেলে কালু মারধর করে।’’ শ্যামলবাবু জানান, তাঁর চোখের পাতায় দু’টো সেলাই পড়েছে। পেশায় ঠিকাদার গৌতম রায় জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আর শ্যামল মুখোপাধ্যায় দোকানে বসে ওই বিষয়ে আজেবাজে মন্তব্য করছিল। তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তাতে দরজায় লেগে বেশ কেটে-ছিঁড়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ থানার আইসি আশিস দেব জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy