Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ঝামেলা এড়াতে সমন্বয় কমিটি

অবশেষে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় তৈরি হল সমন্বয় কমিটি। শহরের সমস্ত বারোয়ারিগুলিকে এক জায়গায়, এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে এই কমিটি গঠন করা হল। নিজেদের মধ্যে তো বটেই, পুজোর প্রতিটি পর্যায়ে‌ প্রশাসনের সঙ্গেও সমন্বয় রক্ষা করবে এই কমিটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২১
Share: Save:

অবশেষে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় তৈরি হল সমন্বয় কমিটি। শহরের সমস্ত বারোয়ারিগুলিকে এক জায়গায়, এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে এই কমিটি গঠন করা হল। নিজেদের মধ্যে তো বটেই, পুজোর প্রতিটি পর্যায়ে‌ প্রশাসনের সঙ্গেও সমন্বয় রক্ষা করবে এই কমিটি।

পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিটি পুজো কমিটি। সেই সঙ্গে ভাসানকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল পুরসভাও। বিসর্জন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় তার জন্য এবার কাউন্সিলররা রাস্তায় নামবেন। এর আগে কখনও বারোয়ারিগুলিকে সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলরদের এভাবে রাস্তায় নামতে দেখা যায় নি।

কালীপুজোয় প্রতিমা বিসর্জনে অত্যাধিক দেরির পাশাপাশি পুলিশের লাঠি চার্জের পরে নড়েচড়ে বসে পুরসভা। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি তৈরির দাবি উঠতে থাকে। সেই মতো শুক্রবার শহরের সব বারোয়ারিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করে পুরসভা। তৈরি হয় সমন্বয় কমিটি।

প্রতিটি বারোয়ারি থেকে দুজনকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হল। পুরপ্রধানের নেতৃত্বে কাজ করবে এই সমন্বয় কমিটি। তবে, কমিটির বাইরেও বিভিন্ন বারোয়ারির সদস্যদের বিসর্জনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে। সেই মত প্রতিটি বারোয়ারিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যাজ দেওয়া হবে।

কৃষ্ণনগর শহরের মূল ভাসানের রাস্তায় চারটি জায়গায় শিবির গড়ে থাকবেন কাউন্সিলররা। রাজবাড়ি, এভি স্কুল মোড়, ঝাউতলা ও নিরঞ্জন ঘাটে থাকবেন কাউন্সিলররা। পাশাপাশি এভি স্কুলের মোড় থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটাকেই সব থেকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তবে এ সবের পাশাপাশি কালী প্রতিমা ভাসানের রাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন বেশ কয়েকটি বারোয়ারির লোকজন। বিশেষ করে তারা ভাসানের সময়সূচি এবং পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ করেন।

বারোয়ারিগুলির মত, এই ধরণের সমন্বয় কমিটির দরকার ছিল। কিছু বিষয় নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বারোয়ারিগুলির এখনও মতভেদ রয়েছে। তবে তাঁদের আশা, সমন্বয় কমিটি প্রশাসনের আলোচনায় সেই সমস্যা মিটবে।

কৃষ্ণনগর শহরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাসান শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ করাই পুলিশের প্রধান চ্যালেঞ্জ। প্রতিবারই ছোট-বড় গন্ডগোল লেগেইউ থাকে। কৃষ্ণনগর পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের অসীম সাহা বলেন, “আমরা চাই না শহরে কোনও রকমের অশান্তি হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jagadhatri puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE