মহিষবাথান মাঠে কল্লোল প্রামাণিকের তোলা ছবি।
বুধবার থেকে শুরু হল করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার পরিচালিত ২০১৫-১৬ বর্ষের নদিয়া জেলা চ্যাম্পিয়নশিপের ফুটবল লিগ।
লিগের প্রথম দিনে জুনিয়র বিভাগের একটি খেলা হয়। মহিষবাথান মাঠে ওই খেলায় মুখোমুখি হয় করিমপুর জামতলা নবারুণ সঙ্ঘ ও কুমরি নেতাজি সঙ্ঘ পাঠাগার। কুমরি ১–০ গোলে জেতে। ১৯৭৬ সাল থেকে চলে আসছে এই ফুটবল লিগের খেলা। প্রতিযোগিতা ঘিরে জন সাধারণের উন্মাদনা দিন দিন বাড়ছে। বছরভর এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকেন এলাকার অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী দর্শক।
নদিয়ার ১৮টি আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে একটি করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা। এই সংস্থার অধীনে করিমপুর ১ ও ২ ব্লক এলাকার প্রায় পঞ্চাশটি ক্লাব রয়েছে। আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুজিত বিশ্বাস জানান, এ বছরও সাব জুনিয়র (অনূর্ধ্ব ১৬), জুনিয়র (অনূর্ধ্ব ১৯), সিনিয়র দ্বিতীয় ডিভিশন ও সিনিয়র প্রথম ডিভিশন এই চারটি দল খেলবে। এ বারের জুনিয়র ফুটবলে কুড়িটি দল যোগ দিচ্ছে। সাব জুনিয়র দলে আটটি, সিনিয়র দ্বিতীয় ডিভিশনে উনিশটি ও সিনিয়র প্রথম ডিভিশনে রয়েছে দশটি দল খেলবে। জুনিয়র লিগের পরে শুরু হবে সিনিয়র দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা এবং সবশেষে আগস্টে সাব জুনিয়র ও সিনিয়র প্রথম ডিভিসনের খেলা শুরু হবে।
জুনিয়র ও সিনিয়র দ্বিতীয় ডিভিশনে ২০টি দলকে পাঁচটি করে মোট চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পরবর্তী পর্যায়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। অগস্টের শেষে এই খেলা শেষ হবে। খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হবে কুচাইডাঙা, শিশা, মহিষবাথান, যমসেরপুর, হরেকৃষ্ণপুর, শিকারপুর ও করিমপুর মাঠে। প্রত্যেক খেলার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলকে ট্রফি, সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
এই লিগ আয়োজনের খরচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আয়োজকেরা। করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সাহা জানান, এত বড় খেলার আয়োজন করতে প্রতি বছর অনেক টাকার প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘‘সেই টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছি।’’ ভবিষ্যতে টাকার অভাবে এই খেলা বন্ধ করে দিতে হতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। এলাকার সকল পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আবেদন পেলে জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া দফতরের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন করিমপুর ১ বিডিও তাপস মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy