অবশেষে সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল সভাপতি আকলেমা বিবির বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর আনা অনাস্থা সভা পুনরায় ডাকার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিসন বেঞ্চের দুই বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও শঙ্কর আচার্য। ২০ অক্টোবর বেলা ১১ টায় ওই অনাস্থা সভা ডাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক বা সংশ্লিষ্ট কর্তাকে।
কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনকারী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয় চক্রবর্তীর হয়ে হাজির ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ দেওয়ান। তিনি জানান, ওই মামলায় ডিভিসন বেঞ্চের দুই বিচারপতি ২০ অক্টোবর ফের অনাস্থা সভা ডেকে সভাপতি আকলেমা বিবির সংখ্যা গরিষ্ঠতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিনের সভার সিদ্ধান্ত ৩ নভেম্বরের মধ্যে ডিভিসন বেঞ্চের কাছে দাখিল করতে হবে। সেই দিনই তাদের রায় ঘোষণা করবেন আদালত। রায়ের কপি সোমবারের মধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে।
২০১৪ সালে তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ সদস্যরা অনাস্থা আনেন সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আকলেমা বিবির বিরুদ্ধে। সেই মতো ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বরে অনাস্থা সভা ডেকেও ২৪ ঘণ্টা আগে সে সভা নিজেই স্থগিত করে দিয়েছিলেন জঙ্গিপুরের তৎকালীন মহকুমা শাসক।
তবু ৩৩ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ২২ জন সদস্য সে দিন নিজেরাই একটি সভা করে সাগরদিঘির তৃণমুলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকলেমা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। সভায় হাজির ছিলেন তৃণমুলের বিক্ষুব্ধ ১১ জন সদস্য ছাড়াও সিপিএমের ৭ ও কংগ্রেসের ৪ জন সদস্য।
এই অনাস্থাকে ঘিরে দুই পক্ষের জোড়া মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় ডিভিসন বেঞ্চে। মামলা চলার ফলে সাগরদিঘিতে পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
তৃণমূলের সাগরদিঘির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা সামসুল হুদা অবশ্য বলেন, “সেই সময় ২২ জন অনাস্থাকে সমর্থন করলেও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। তাই ২০ অক্টোবরের অনাস্থা সভায় কি ঘটবে বলা সম্ভব নয়। আমি পঞ্চায়েতের সদস্য নই। তাই ৩৩ জন সদস্যরা মিলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তারাই নেবেন।’’ আকলেমা বিবি অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy