রাজ্যে ফের গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি-সহ এক ভারতীয় দালাল। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁদের। মুর্শিদাবাদের কাহারপাড়া সীমান্তে লোহার সেতুতে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরতে দেখে তাঁদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দু’জন বাংলাদেশের নাগরিক এ কথা স্বীকার করতেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশিদের নাম নাম নুরুল ইসলাম (৪০) ও মহম্মদ বাদশা (৩০)। তাঁরা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চাপাই নবাবগঞ্জ থানার চর বাগডাঙা ও নরেন্দ্রপুরে গ্রামের বাসিন্দা। ধৃত ভারতীয় লালন শেখ (৩২)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার খামারপাড়া এলাকায়।
শনিবার রাতে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, কয়েক জন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। সেইমতো রানিনগর থানার পুলিশ বাহিনী সীমান্ত এলাকায় নজরদারি শুরু করে। রাতে কাহারপাড়া লোহার সেতুতে তিন জনকে সন্দেহজনক অবস্থায় আসতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসা করতেই দু’জন স্বীকার করেন তাঁরা বাংলাদেশি। ভারতীয় যুবক লালন শেখকে টাকা দিয়ে তাঁরা ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানান। তার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই লালনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোট সাত জন বাংলাদেশিকে ভারতে প্রবেশ করানোর বদলে তিনি ৬৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। ধাপে ধাপে তাঁদের ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। দু’জনকে সেইমতো নিয়েও আসেন। তবে গ্রেফতার হয়। কিন্তু বাংলাদেশিরা ভারতে আসছিলেন কেন? জিজ্ঞাসায় ধৃত বাংলাদেশিরা স্বীকার করেছেন, কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করেনছে তাঁরা।
পুলিশ রবিবার ধৃতদের লালবাগ আদালতে তুলে সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছে। ধৃত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইনের ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।