কল্যণীতে ডিপিএস ওয়ার্ল্ড স্কুল। —নিজস্ব চিত্র
এ রাজ্যে পথ চলা শুরু করল ডিপিএস ওয়ার্ল্ড স্কুল। রবিবার কল্যাণীতে রাজ্যের প্রথম ডিপিএস ওয়ার্ল্ড স্কুলের উদ্বোধন হল। তুলনামূলক ছোট শহরের মধ্যবিত্ত পড়ুয়াদের কাছে বিশ্বমানের শিক্ষা পৌঁছে দিতেই দিল্লি পাবলিক স্কুলের প্রাক্তনীরা ‘ডিপিএস ফাউন্ডেশন’ তৈরি করেছেন।
সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ স্কুলের উদ্বোধন করেন। উদ্যোক্তারা জানান, এটা কোনও ভাবেই দিল্লি পাবলিক স্কুল বা দিল্লি পাবলিক স্কুল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত নয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিপিএস (ডিপসাইট পেডাগগি সিস্টেম) ওয়ার্ল্ড স্কুলের লক্ষ্যই হল, অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের মানুষদের কাছে উন্নত মানের শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়া। সেই জন্যই কল্যাণীর মতো ছোট শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ দিন খুরশিদ জানান, বড় বড় নামজাদা স্কুলগুলি মফস্সল শহরে আসতে চায় না। সেই কারণেই খুরশিদের মতো দিল্লি পাবলিক স্কুলের প্রাক্তনীরা এই ধরনের একটি সংগঠন তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। আগামী এক বছরের মধ্যে সারা দেশে অন্তত ১৬টি স্কুল খোলা হবে বলে জানান খুরশিদ।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন তথা সলমন খুরসিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদের দাবি, এই স্কুলগুলির সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন ভাল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে। ফলে পড়ুয়ারা বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য থাকছে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
এ দিন বেশ কিছু অভিভাবকেরা জানান, কল্যাণীর মতো ছোট শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল অর্থ। বড় স্কুলগুলির ফি এত বেশি হয় যে, ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা ছেলে-মেয়েদের সেই স্কুলে পড়াতে করাতে পারেন না।
সলমন খুরশিদ তাঁদের জানান, ভাল শিক্ষক আনতে গেলে তাঁদের যথাযোগ্য অর্থ দিতে হবে। এটা কোনও ভাবে এড়ানো যাবে না। কিন্তু, ফি এমন করা হবে না, যাতে তা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। স্কুলের ফি কত হবে, তা অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা থাকবে। দরিদ্র ও মেধাবী পড়ুয়াদের কোনও ভাবেই শিক্ষা থেকে এই স্কুল বঞ্চিত করবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy