সচেতনতার প্রথম পাঠ শুরু হয়েছে স্কুলেই। কেমন শিখছে পড়ুয়ারা? তার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে নানা প্রতিযোগিতারও। তাতে সুফলও মিলছে।
উপভোক্তা বিষয়ক ও ন্যায্য অনুশীলন অধিকার দফতরের দাবি, আজকের পড়ুয়া তো আগামীর ক্রেতা। তাই ওঁরা সচেতন হলে একদিন সকলেই সচেতন হবেন।
বছরের বিভিন্ন সময়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট ছড়ানো থেকে শুরু করে সচেতনতামূলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। সম্প্রতি পড়ুয়াদের নিয়ে উপভোক্তা বিষয়ক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, কুইজ, পোস্টার তৈরি ও স্লোগান লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল নদিয়া জেলা উপভোক্তা বিষয়ক ও নায্য বাণিজ্য অনুশীলন অধিকার দফতর। প্রতিযোগিতায় জেলার ১৯টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দিয়েছিল। গত ৩০ অগস্ট কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কুইজে বেথুয়াডহরি জেসিএম হাই স্কুলের দুই ছাত্র প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে ধুবুলিয়া দেশবন্ধু হাই স্কুলের দুই ছাত্র। ওই চার জনেই এ বারে রাজ্য স্তরের কুইজ প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘একজন সচেতন উপভোক্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য’। বাংলা প্রবন্ধ লেখার ওই বিভাগে ধুবুলিয়া দেশবন্ধু হাই স্কুলের এক ছাত্র প্রথম হয়েছে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে শিমুরালি উপেন্দ্র বিদ্যাভবনের দুই ছাত্র। ওই একই বিষয়ে ইংরেজি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পলাশি হাই স্কুলের এক ছাত্র। কৃষ্ণনগর অ্যাকাডেমির দুই ছাত্রী দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে।
পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতায় ধুবুলিয়া দেশবন্ধু হাই স্কুলের এক ছাত্র প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে ওই স্কুলেরই এক ছাত্রী। তৃতীয় হয়েছে শিমুরালি উপেন্দ্র বিদ্যাভবনের এক ছাত্র। স্লোগান লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে করিমপুরের যমশেরপুর বিএন হাই স্কুলের দুই ছাত্র। তৃতীয় হয়েছে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের এক ছাত্র।
উপভোক্তা বিষয়ক ও নায্য বাণিজ্য অনুশীলন অধিকারের জেলার উপ সহ-অধিকর্তা সুমন্ত ঘোষ জানান, এ বছর জেলার ৬৫টি স্কুলে উপভোক্তা বিষয় সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই স্কুলগুলোকেই জেলা স্তরের এই প্রতিযোগিতায় ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৯ টি স্কুলের পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। কুইজে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। বাকি প্রতিযোগিতার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় পাঠানো হবে। তবে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার দিন এখনও ঠিক হয়নি।