এ যেন বাঘের ঘরেই ঘোগের বাসা!
চুরি-ছিনতাই হলে সাধারণ মানুষ ছোটেন পুলিশের কাছে। কিন্তু খোদ পুলিশের কাছ থেকেই যদি টাকা ছিনিয়ে পালায় দুষ্কৃতী?
সে দুঃখ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল চিত্তরঞ্জন দাস। তিনি বলছেন, ‘‘ওই হতচ্ছাড়াদের কাছে মোটরবাইক ছিল। আমার কাছেও সাইকেলের জায়গায় বাইক থাকলে দেখিয়ে দিতাম পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের পরিণাম কী হয়!’’
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। ওই ঘটনার পরে চিত্তবাবু বেজার মুখে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় হানাও দেয়। কিন্তু, এ দিন রাত পর্যন্ত ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি। এমন ঘটনায় চরম অস্বস্তি পুলিশ মহলে।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রাস্তাঘাট সুনসান ছিল। সেন্ট্রাল পার্কের কাছের একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ২৮ হাজার টাকা তুলে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন কল্যাণী হাউসিং এলাকার বাসিন্দা চিত্তবাবু। তাঁর স্ত্রী টাকার ব্যাগ নিয়ে বসেছিলেন সাইকেলের পিছনে। তাঁরা যখন থানার ঠিক পিছনের রাস্তায়, সেই সময় আচমকা একটি বাইকে করে দুই যুবক এসে তাঁর স্ত্রীর হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। চিত্তবাবু বলেন, ‘‘চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু রাস্তায় তখন লোকজন বেশি ছিল না। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছি। এর মধ্যেই এমন বিপত্তি।’’
রাতে চুরি, আর দিনে-দুপুরে ছিনতাই। এক সময়ে এটাই ছিল কল্যাণী শহরের মূল সমস্যা। মাঝে তা কিছুটা কমেছিল। ফের শুরু হয়েছে ছিনতাইবাজদের দাপট। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের বেলায় প্রকাশ্য রাস্তায় থানার কাছ থেকে পুলিশকর্মীর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা কতটা বেপরোয়া। তারা যে পুলিশকে বিশেষ ভয় পায় না, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ধরতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দাগি চোর ছিনতাইবাজদের নিয়মিত ধরপাকড় করা হয়। সম্প্রতি তাদেরই কয়েকজন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তারাই আবার এই কারবার শুরু করেছ বলে পুলিশের অনুমান
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বীজপুর থেকে দুষ্কৃতীরা প্রায়ই কল্যাণী এসে চুরি-ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই তা চলছে। সেই চক্রও মাঝে নিস্ক্রিয় ছিল। সেই চক্র কি ফের সক্রিয় হল? পুলিশের দাবি, তারা কিছু সূত্র পেয়েছে। খুব শিগ্গির দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।
টাকা ছিনতাই হওয়ার পর থানা থেকে বেরিয়ে যেন পা আর চলছিল না চিত্তবাবু ও তাঁর স্ত্রীর। বার বার বলছিলেন, ‘‘বহু কষ্টের টাকা। এ বার মায়ের চিকিৎসা কী ভাবে চলবে ভেবে পাচ্ছি না।’’
কিশোরীর দেহ। এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার নাম নলিতা বিশ্বাস (১৭)। ধানতলার দত্তপুলিয়া কুশবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার তাকে বাড়ির কাছে গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বাড়ির লোকেরা বকাবকি সে আত্মঘাতী হয়েছে সে। ওই ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy