গোদাডাঙার আবর্জনায় আগুন।
সন্ধে নামলে কেউ বা কারা আগুন ধরাচ্ছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। আর সেই আগুনের ধোঁয়ায় ভরছে আশপাশের এলাকা। কটূ ধোঁয়ায় চোখ মেলে তাকানো মুশকিল হয়ে পড়ছে বয়স্কদের। অনবরত কাশছে খুদেরা। অথচ কে বা কারা ধোঁয়া লাগাচ্ছে তা স্পষ্ট নয় প্রশাসনের কাছে। পদক্ষেপ করার আশ্বাস মিলেছে মাত্র।
কৃষ্ণনগরের গোদাডাঙায় একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। শহরের জঞ্জাল এনে ফেলা হয় সেখানে। গোদাডাঙার একদিক ফাঁকা। অন্য দিকে, বসতি। পাশেই রাধানগর। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জঞ্জালে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। জঞ্জাল পুড়ে কটূ ধোঁয়ায় ভরছে চারপাশ। বাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি আগুন এতটাই লাগে যে তা নেভাতে দমকলের একটি ইঞ্জিনও আসে।
রাধানগরের বারীন্দ্রনাথ পাল, সুব্রত মজুমদারেরা বলছেন, ‘‘বাড়ি থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড মেরেকেটে ৫০০ মিটার। মাঝে মাঝে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লাগছে। বাড়িঘর কটূ ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে। ছোট ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট নিতে হচ্ছে।’’ তাঁরা মৌখিক ভাবে স্থানীয় কাউন্সিলরকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
তবে কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান অসীমকুমার সাহার দাবি, অনেক সময় বর্জ্যর মধ্যে দাহ্য পদার্থ চলে আসে। তা থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ এ নিয়ে কোনও অভিযোগ জানাননি।
তিনি বলেন, ‘‘জঞ্জাল থেকে সার তৈরির কারখানা রয়েছে ওখানে। ফলে আমরা কোনও দিনই আগুন দিইনি। কে বা কারা আগুন লাগাচ্ছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
কে বা কারা আগুন লাগাচ্ছে তা স্পষ্ট নয় সার তৈরির কারখানার কর্মকর্তা অমলেন্দু পান্ডার কাছেও। তিনি বলছেন, “কী ভাবে আগুন লাগছে তা পরিষ্কার নয়। আবর্জনা পুড়লে তো আমাদেরই ক্ষতি।”
পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বপন সাহা বলছেন, “মাঝে মাঝে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লাগার খবর আমরা পেয়েছি। বাসিন্দাদের কাছ থেকে সমস্যার কথা শুনেছি।”
তাঁর দাবি, গোদাডাঙায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে দিনের বেলায় নিরাপত্তারক্ষী থাকে। নজরদারি বাড়াতে সেখানে রাতেও তার ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয় চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত সাহা জানান, অনেক সময় গাড়ির টায়ার থাকে। তা থেকে লোহার তার বের করার জন্য আগুন লাগাতে হতে পারে। তবে আগামী দিনে যাতে আগুন না লাগে তার ব্যবস্থা নেবেন।
এখন কাউন্সিলরের আশ্বাস কতটা কার্যকরী হয় সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy