E-Paper

উড়ালপুল-সেতুর জাঁতাকলে যানজটে নাভিশ্বাস যাত্রীদের 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর সময় বালি ও পাথর খাদান বন্ধ ছিল। সেই খাদান চালু হতেই লরির চাপ বেড়েছে। রেলগেটের কাছে সড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

সুদেব দাস

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৩
রানাঘাটে মিশন গেটে উড়ালপুল নির্মাণের কারণে যানজট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার রানাঘাটে। নিজস্ব চিত্র

রানাঘাটে মিশন গেটে উড়ালপুল নির্মাণের কারণে যানজট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার রানাঘাটে। নিজস্ব চিত্র

রেলগেটে চলছে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ। মাঝেমধ্যেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। ট্রেন চলাচলের কারণে কিছু সময় পর পর বন্ধ হচ্ছে রেলগেট। সব মিলিয়ে রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া যানজটের সমস্যা শুক্রবার বিকেলেও স্বাভাবিক হল না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চলছেই।

সড়ক সম্প্রসারণ, তিনটি উড়ালপুল ও চূর্ণী নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ একসঙ্গে চলতে থাকায় রানাঘাটের আঁইশতলা মোড় থেকে মিশন রেলগেট পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ কার্যত অবরুদ্ধ। তীব্র যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে যানবাহন থেকে জরুরি পরিষেবার অ্যাম্বুল্যান্স। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশও হিমশিম।

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। যান চালকদের অনেকেই জানালেন, মিশন রেলগেট অর্থাৎ ৫৫ নম্বর রেলগেট মিনিট দশেক বন্ধ থাকলেই সড়কে অন্তত এক-দেড় কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন পড়ে যায়। ওই রেলগেটের উপর বছর দুয়েক ধরে উড়ালপুল নির্মাণের কাজ চলছে। তার জেরেই রানাঘাটে জাতীয় সড়কে যানজট নিত্য যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর সময় বালি ও পাথর খাদান বন্ধ ছিল। সেই খাদান চালু হতেই লরির চাপ বেড়েছে। রেলগেটের কাছে সড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা অভিমুখী ছোট যানবাহন রানাঘাটের কোর্ট মোড় থেকে জগপুর রোড দিয়ে পায়রাডাঙার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি থেকে বাসে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পলাশ সরকার। শুক্রবার সকাল সাতটার মধ্যে বাস ধর্মতলায় পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু তীব্র যানজটের কারণে এ দিন সকাল দশটাতেও রানাঘাট পার হতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, "গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যানজট এড়াতে প্রশাসনের অনেক আগে বিকল্প উপায় ভাবা উচিত ছিল।’’

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষের নদিয়া জেলা প্রকল্প আধিকারিক দীনেশকুমার সিং বলেন, "ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। দ্রুত যাতে কাজ শেষ হয় সেই চেষ্টা চলছে।" নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে, ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের সময় সড়কের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy