প্রধান কে হবেন সেই প্রশ্নে তৃণমূলেরই অন্দরে গড়ে উঠেছে দুই গোষ্ঠী। আর তারই জেরে থমকে গিয়েছে প্রধান নির্বাচনের কাজ। দু-দু’বার বৈঠক ডেকেও সমাধান সূত্র মেলেনি। আগামী ৩ নভেম্বর ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাতে রফা হয় কিনা সেই দিকে তাকিয়ে বেলডাঙা ১ ব্লকের মাড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েতে নির্বাচনে সিপিএম ৮, আরএসপি ২, কংগ্রেস ৩, নিদর্ল ৪ ও তৃণমূল একটি আসনে জয় লাভ করে। ক্ষমতায় আসে বামেরা। তার ১১ মাস পরে প্রধান-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তাঁরা আবার বামে ফেরেন।
কিন্তু চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত প্রধান রাফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা পড়ে। বামেদের পাঁচ জন, কংগ্রেসের এক জন, তৃণমূলের একজন ও নির্দলের ৩ জন অনাস্থায় সই করেন। অনাস্থায় প্রধান অপসারিতও হন। কিন্তু তারপরে দু’টি পর্বে ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। সেই মতো গত ১৭ অক্টোবর নতুন প্রধান নির্বাচনের তারিখ ছিল। কিন্তু কাকে প্রধান করা হবে সেই নিয়ে দু’টি দল গড়ে উঠেছে। আর সেই দ্বন্দ্বে থমকে প্রধান নির্বাচন।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলা তৃণমূল দু’পক্ষকে বসিয়ে প্রধান নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু ব্লক নেতৃত্ব তাতে বাগড়া দিচ্ছে। সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েতের যে সদস্যেরা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যাঁরা তৃণমূলে এসেছেন তাঁদের মেনে নিতে পারছেন না বাকিরা। তাই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
বিষয়টি স্বীকারও করছেন ব্লক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ওরা ভোটের আগে বামফ্রন্ট করল। এখন তৃণমূলে এসেছে। ওদের বিশ্বাস করা যায় না। তবে জেলা নেতৃত্ব যা বলবে তাই করব।’’ তিনি আগামী ৩ নভেম্বর নতুন প্রধান নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছে। সেখানে কী হয় এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy