তিন তলার শৌচাগার থেকে ঝাঁপ দিয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে! মৃতের স্ত্রী কমলা মুসাহারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আয়ার গাফিলতির কারণেই এমনটা ঘটল। এর আগেও আয়ার বিরুদ্ধে সদ্যোজাত সন্তান ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রসূতি বিভাগ মাতৃসদনে।
ফের এ দিন রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এসেছে আয়ার গাফিলতির কথা। অভিযোগ, রোগী পরিচর্যার নামে আয়াদের দাপটে রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকজনকে আতঙ্কে থাকতে হয়। এমনকী জোর করে রোগীর দেখভাল করে বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগও নতুন নয়। আয়াদের হাত থেকে রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকজনকে স্বস্তি দিতে এসএসকেএম হাসপাতালের ধাঁচে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘অনুব্রতী’ নিয়োগ করা হবে বলে স্বাস্থ্যভবন জানায়। যদিও সরকারি ওই নির্দেশিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এখনও এসে পৌঁছায়নি বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত আয়াদের ব্যাপারে কোনও সরকারি নির্দেশ পাইনি। ফলে এখনই কোনও মন্তব্য করছি না।’’ তবে রোগীর দেখভালের জন্য রোগীর বাড়ির এক জন থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা আয়াদের উপরে ভরসা করলে তাঁদের কিছু করণীয় কিছু নেই বলেও সুপার জানান। তিনি বলেন, ‘‘আয়াদের আমরা রাখিনি। আয়াদের এই দৌরাত্ম্যের জন্য রোগীর বাড়ির লোকজনই দায়ী।’’