—নিজস্ব চিত্র
নবান্ন অভিযানে জখম হয়ে এক ডিওয়াইএফ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সিপিএমের পাশে থাকার বার্তা দিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক সময়ে তিনি ছিলেন তৃণমূলের নদিয়া জেলা পর্যবেক্ষক। সোমবার পরিবর্তন যাত্রা উপলক্ষে এক সভায় যোগ দিতে বীরনগরে এসে রাজীব বলেন, “আমি সকালে ফোন করেছিলাম সুজন চক্রবর্তীকে। ওঁকে বললাম, এক জন রাজনৈতিক কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমি এই ঘটনায় আপনাদের পাশে আছি।”
বাম আমলে পুলিশি বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী যে সরব ছিলেন তা মনে করিয়ে দিয়ে রাজীব বলেন, “আজ এই নিরীহ ছেলেটি মারা যাওয়ার পরে তিনি শাসক দলের নেত্রী, আজকে তিনি নীরব কেন? এর দায়িত্ব স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে।” অভিযান সামলাতে জলকামান ছিল, রাবার বুলেট ব্যবহারের মতো নানা বিকল্প পন্থা নেওয়া যেত বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি বিজেপির নবান্ন অভিযানে জলকামান থেকে রঙিন জল ছোড়ার ঘটনাও মনে করিয়ে দেন তিনি। যদিও তখন রাজীব তৃণমূলেই ছিলেন এবং এই নিয়ে টুঁ শব্দটিও সে দিন করেননি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, “আজকে ওঁরও উচিত ছিল রাস্তায় নেমে বলা, এটা ভুল হয়েছে। ক্ষমা চাওয়া।”
এ দিনই বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় প্রবেশ করে কৃষ্ণগঞ্জ হয়ে। হাঁসখালি ব্লক, রানাঘাট ২ ব্লকের একাংশ পার করে বীরনগর, বাদকুল্লা, তাহেরপুর হয়ে রাতেই শান্তিপুর থানার সাড়াগড়ে এসে এ দিনের যাত্রা শেষ। এক দিন বিশ্রামের পরে কাল, বুধবার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাসের জন্মস্থান এবং হবিবপুর ইসকন মন্দির ঘুরে তা রওনা দেবে রানাঘাটের অভিমুখে রওনা দেবে।
পরিবর্তন যাত্রার গাড়ি বীরনগরে এসে পৌঁছনোর আগেই সভায় এসে রাজীবের কটাক্ষ, “আমরা যখন দল ছেড়ে দিচ্ছি তখন বলা হচ্ছে আমি মিরজাফর, গদ্দার। তা হলে দলে যারা আছেন বিভীষণ, তাদের আপনারা চিহ্নিত করুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy