Advertisement
E-Paper

শ্যালিকার হাতে স্কুলের রাশ! শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে নদিয়ার প্রধানশিক্ষক

প্রধানশিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাস যে স্কুলে কাজ করেন, সেটি তাঁর শ্বশুরবাড়ির কাছেই। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধানশিক্ষকের শ্যালিকা স্কুল চলাকালীন প্রধানশিক্ষকের ঘরে বসে গল্প করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ১২:৩৬
শান্তিপুরে স্কুলে বিক্ষোভ।

শান্তিপুরে স্কুলে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

শ্বশুরবাড়ির পাড়াতেই স্কুল। তাই মাঝেমধ্যেই নাকি প্রধানশিক্ষকের শ্যালিকা স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেন। মিড ডে মিলের মেনু ঠিক করা থেকে শিক্ষকদের ক্লাসের রুটিন— সবই নাকি তিনি ঠিক করেন। এমনই অভিযোগ করে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। যদিও প্রধানশিক্ষক এবং তাঁর শ্যালিকা, দু’জনেই সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা।

নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার নৃসিংহপুর উত্তর কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক প্রশান্ত বিশ্বাস। স্কুলটি তাঁর শ্বশুরবাড়ির কাছেই। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, প্রধানশিক্ষকের শ্যালিকা সন্ধ্যা মণ্ডল বিদ্যালয় চলাকালীন প্রধানশিক্ষকের ঘরে বসে গল্প করেন। এমনকি, স্কুলের নানা বিষয়ে তিনি নাক গলান। স্কুলের সহ-শিক্ষকেরা কে কখন কোন ক্লাস নেবেন, সেটাও নাকি প্রধানশিক্ষকের শ্যালিকা ঠিক করেন। এ সব দেখেশুনে এক অভিভাবক স্কুলের হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপে সরব হয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন তাঁকে ওই গ্রুপ থেকে ‘রিমুভ’ করে দেওয়া হয়। এ সব নিয়ে শনিবার স্কুলের সামনে জড়ো হন একশোর বেশি অভিভাবক। ঝর্না মণ্ডল নামে এক অভিভাবকের কটাক্ষ, ‘‘প্রধানশিক্ষক বিদ্যালয়কে তাঁর শ্বশুরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। উনি ভুলে গিয়েছেন, এটা ওঁর কর্মক্ষেত্র। বাড়ি নয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এর আগেও প্রতিবাদ করেছিলাম কয়েক জন। তখন প্রধানশিক্ষকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তেড়ে এসেছেন।’’ অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে পড়াশোনা ঠিক ভাবে হচ্ছে না। তার জন্য দায়ী প্রধানশিক্ষক।

অভিভাবকদের সুরে সুর মিলিয়েছেন স্কুলের এক শিক্ষকও। রিপন মণ্ডল নামে ওই শিক্ষক বলেন, ‘‘ইচ্ছা মতো পড়ানোর পরিবেশ নেই স্কুলে। বিভিন্ন মেধাপরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করে প্রস্তুত করা হত। সেটাও বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানশিক্ষক। ওঁর শ্যালিকার প্রভাব খাটানোও একেবারে অনৈতিক।’’ প্রধানশিক্ষক এবং তাঁর আত্মীয়াকে নিয়ে এই সব অভিযোগে শনিবার সরব হন অভিভাবকেরা। কিন্তু প্রধানশিক্ষকের দাবি, অনৈতিক কোনও কাজ তিনি করেননি। নিয়ম মেনে স্কুল চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘যা হচ্ছে, সবটাই নিয়মমাফিক হচ্ছে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা উচ্চ স্তরে জানাতে পারেন। এ ভাবে স্কুলের মধ্যে বিক্ষোভ দেখানো তো ঠিক নয়।’’ আর প্রধানশিক্ষকের শ্যালিকার দাবি, ‘‘আমি স্কুলের অভিভাবক কমিটির প্রতিনিধি। স্কুলের ভাল-মন্দ দেখা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি আমার জামাইবাবুকে স্কুলে খাবার দিয়ে যাই। এতে অন্যায়টা কী?’’

Nadia school Head Master Agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy