জখম আবুল কালাম। নিজস্ব চিত্র
দলীয় সভায় যোগ দিতে আসার পথে আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস কর্মীরা। অভিযোগের তির, তৃণমূলের দিকে। সোমবার বিকেলে, ডোমকল-বহরমপুর রাজ্য সড়কের নলবাটায় ওই হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন ছ’জন কংগ্রেস কর্মী। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের ছোড়া গুলিতেই জখম হয়েছেন তাঁরা। জখম আবুল কালামকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়।
সোমবার বিকেলে বহরমপুর-ডোমকল রাজ্য সড়কে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে কংগ্রেসের ওই সভা ছিল। সেখানে আসার পথে, হুড়শি পঞ্চায়েতের বেকিবাগান, শিশাপাড়া, হেড়ামপুর পাঁচরাহা মোড়েও আক্রান্ত হন কংগ্রেস কর্মীরা। লছিমন ও ছোট গাড়িতে আসার সময়ে তাঁদের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের দাবি, হামলা করেছে কংগ্রেসই। আহত হয়েছেন তাদেরও ৬ দলীয় কর্মী। এ দিকে ওই ঘটনায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ জমা পড়েছে ইসলামপুর থানায়। কংগ্রেস প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে এবং তৃণমূল ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। রানিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক ফিরোজা বেগমের অভিযোগ, সভার কথা জানিয়ে সাত দিন আগে ইসলামপুর থানায় লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। তবে, সভায় পুলিশ পাঠানো হয়নি। পরে, ঘটনাস্থলে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামপঞ্চায়েত দখল করে নেওয়ার পরেও কংগ্রেস যে মুর্শিদাবাদে শেষ হয়ে যায়নি, তার প্রমাণ সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের উপরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের এই হামলা।’’
দিন কয়েক আগে, বহরমপুরের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় ‘কংগ্রেসের সভায় এত মানুষের ভিড় হচ্ছে কেন’, প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। তিনি কর্মীদের এলাকায় সংগঠন বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। এমনকী সে কাজে সফল না হলে, পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন। তার পরেই এ দিনের সভায় হামলা বলে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের অভিযোগ। তিনি জানান, নেতারা পদ ধরে রাখতেই এ দিনের হামলা চালায়, যাতে ভিড় না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy