Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
ফিরছে ভোট
Shamsherganj

Samsherganj Election: ডালুর দাবি, জইদুর রাজি

বার বার ফোন করলেও জইদুর কিন্তু এ দিন ফোন ধরেননি। বাড়িতে সংবাদ মাধ্যম তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।

শমসেরগঞ্জে রুট মার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর। নিজস্ব চিত্র

শমসেরগঞ্জে রুট মার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর। নিজস্ব চিত্র

বিমান হাজরা
শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৫১
Share: Save:

এ বার কী দুই ভাইয়ের মধ্যে লড়াই দেখবে শমসেরগঞ্জ? ডালুবাবুর দৌত্যে শেষ পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচনে কী সেই চমকের পথেই এগোচ্ছে শমসেরগঞ্জ?

কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও জইদুর রহমান বুধবার পর্যন্ত বলেছেন, তিনি ভোটে লড়বেন না, কেননা তাঁরই দাদা খলিলুর রহমান তৃণমূলের সাংসদ ও সাংগঠনিক সভাপতি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ধুলিয়ানে জইদুরের বাড়িতে হঠাৎই হাজির হন মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ (শমসেরগঞ্জ বিধানসভা তারই অধীনে) আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি শহিদুল ইসলাম। মিনিট ১৫ ছিলেন তাঁরা জইদুরের বাড়িতে। চা খান। জইদুরকে অনুরোধ করেন কংগ্রেসের হয়ে লড়তে হবে। কংগ্রেসের দাবি, হাসেম খান চৌধুরীর কথা মেনে জইদুর লড়তে রাজি হয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়েই আবু হাসেম খান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “জইদুর প্রার্থী হয়ে লড়তে রাজি হয়েছেন। জইদুর এক জন ভাল প্রার্থী। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে তাঁর জয় নিশ্চিত।” একই কথা বলেন শমসেরগঞ্জের ব্লক সভাপতি শহিদুল ইসলামও। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে আর শুধু প্রতীক নয়, জইদুর রহমানের নাম দিয়েই দেওয়ান লিখন শুরু হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে প্রার্থীও নামবেন প্রচারে। কংগ্রেস জিতলে শমসেরগঞ্জে যে সব নোংরামি চলছে তা বন্ধ করব। শমসেরগঞ্জ থেকেই ফের রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস।”

তবে বার বার ফোন করলেও জইদুর কিন্তু এ দিন ফোন ধরেননি। বাড়িতে সংবাদ মাধ্যম তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি। তবে ডালুবাবু শমসেরগঞ্জ ছেড়ে চলে যেতেই জইদুর ফেসবুকে লেখেন, “এই খেলা কিন্তু সকলকেই খেলতে হবে।”

পরে এ নিয়ে তার দাদা তৃণমূল নেতা খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গিপুরে প্রচারে এসেছি। ডালুদা শমসেরগঞ্জের বাড়িতে এসেছিলেন। কী কথা হয়েছে, আমি জানি না। ভাই জইদুরের সঙ্গে আমার বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও কথা হয়নি। তাই আমি জানি না, ভাই কী করবে। তবে শমসেরগঞ্জের ভোটে তৃণমূলের নির্বাচনের দায়িত্ব আমার। দলের প্রার্থীকে রেকর্ড মার্জিনে জেতাব এটাই তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য। ভাই কী করবে সেটা তার সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।”

জইদুর শেষ পর্যন্ত লড়লে শমসেরগঞ্জে বিধানসভার লড়াই হয়ে উঠবে দুই ভাইয়ের মর্যাদার লড়াই। আদৌ তা হবে কি না, সেটা দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shamsherganj Re Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE