Advertisement
E-Paper

মূর্তির ধুলো মুছতে সঙ্কল্প, বালতি হাতে নিল পড়ুয়ারা

স্কুল পড়ুয়াদের সংগঠন ‘শান্তিপুর সঙ্কল্প’-এর তরফে শুক্রবার থেকে এই সমস্ত মূর্তিগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। বালতি, কাপড় নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০০
চলছে মূর্তি পরিষ্কার। —নিজস্ব চিত্র।

চলছে মূর্তি পরিষ্কার। —নিজস্ব চিত্র।

শহরে রয়েছে মনীষীদের একাধিক মূর্তি। ধুলোবালিতে ভরে গেলেও সেই মূর্তিগুলি পরিষ্কার করতে এগিয়ে আসেন না কেউই। এ বার তা-ই করতে এগিয়ে এল স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুল পড়ুয়াদের সংগঠন ‘শান্তিপুর সঙ্কল্প’-এর তরফে শুক্রবার থেকে এই সমস্ত মূর্তিগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। বালতি, কাপড় নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে তারা।

রত্নগর্ভা শান্তিপুর বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান বহু আগে থেকেই। অদ্বৈতাচার্য, করুনানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বীর আশানন্দ, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, স্যার আজিজুল হকের মতো অনেকেই বাংলার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। শান্তিপুরের বিভিন্ন জায়গায় করুনানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, বীর আশানন্দের মতো মনীষীদের পাশাপাশি কাজী নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিধানচন্দ্র রায়-সহ অনেকের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। কখনও পুরসভা, কখনও কোনও সংগঠন সেগুলি স্থাপন করেছে। রিন্তু সেগুলি পরিষ্কার করা হয় কালেভদ্রে। রাস্তার ধারে স্থাপিত মূর্তিতে ধুলোবালি এসে পড়ে। ময়লার স্তর পড়ে যায়।

মাস কয়েক আগে শান্তিপুরের স্কুল পড়ুয়াদের সংগঠন সংকল্প গঠিত হয়েছে। একাদশ শ্রেণির ৯ জন ছাত্র, ৩ জন ছাত্রীকে নিয়ে তৈরি হয় ‘সংকল্প’। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া এবং একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের অভিভাবক।

শুক্রবার থেকে পড়ুয়ারা বেরিয়ে পড়েছে অভিযানে। কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে, জল দিয়ে ধুয়ে মুছে তারা সাফ করছে মূর্তিগুলি। সংস্থার সম্পাদক কুশল প্রামাণিকের কথায়, ‘‘রাস্তা দিয়ে যখন যাই তখন এই মুর্তিগুলি দেখে আমাদের খারাপ লাগে। তাই নিজেরাই স্থির করি এগুলো আমরা নিয়মিত সাফসুতরো রাখব। শুক্রবার থেকে শহর ঘুরে সেই কাজই শুরু করেছি।”

শান্তিপুরের বাসিন্দা শিক্ষক অনিন্দ্য মোদক বলেন, “শুধু মূর্তি গড়েই যে সম্মান জানানোর কাজটা শেষ হয়ে যায় না, তা এই বাচ্চাগুলো দেখিয়ে দিল। যা আগে আমাদের মতো বড়দের ভাবা উচিৎ ছিল তা এই বাচ্চাগুলো করে দেখাচ্ছে।”

নিয়মিত মূর্তি পরিষ্কার করা হয় না তা মানছেন শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে। তিনি বলেন, “নানা উৎসব অনুষ্ঠানের সময়ে বা মনীষীদের জন্ম ও মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠানের সময়ে মূর্তি পরিষ্কার করা হয়।’’

Shantipur Statue শান্তিপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy