Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ট্রিপল আইটি-র অনশনে অসুস্থ আরও ৩

প্রতি মাসের শেষে কেন্দ্র সব রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে কারিগরি শিক্ষার হাল-হকিকত নিয়ে খোঁজ নেয়। বৃহস্পতিবারই সেই বৈঠক হওয়ার কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৯
Share: Save:

অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কল্যাণীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ট্রিপল আইটি)-র আরও তিন ছাত্রছাত্রী। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের অনশন পাঁচ দিনে পড়ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের কর্তারা এখনও তাঁদের নিরস্ত করতে পারেননি।

প্রতি মাসের শেষে কেন্দ্র সব রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে কারিগরি শিক্ষার হাল-হকিকত নিয়ে খোঁজ নেয়। বৃহস্পতিবারই সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের এক যুগ্মসচিব ওই বৈঠকে ট্রিপল আইটি-র বিষয়টি তুলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। পড়ুয়ারা আপাতত বৈঠকের দিকে তাকিয়ে।

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ট্রিপল আইটি-র প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ৩৫ জন পড়ুয়ার অনশন বুধবার চার দিনে পড়েছে। রবিবার সকাল থেকে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে অনশন শুরু হয়েছে। সোমবারই এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্যালাইন দেওয়ার পরে ক্যাম্পাসে ফিরে তিনি ফের অনশনে শামিল হন। মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন পড়ুয়া। তাঁদেরও জেএনএম হাসপাতালে পাঠাতে হয়।

এ দিন ফের অনশনরত তিন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হিমাংশু কুমার, শুভম পাল ও নীরজকুমার মেহেরা নামে ওই তিন ছাত্রকে কল্যাণী থানার অ্যাম্বুল্যান্সে জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। রাত পর্যন্ত কেউ সেখানে ভর্তি নেই।

রোজ অসুস্থ পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকলেও আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁরা বলছেন, এর আগেও অনেক বার তাঁরা অবস্থানে বসেছেন। কর্তৃপক্ষ দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহার করার পরে আর দাবি পূরণ করা হয়নি। তাই এ বার দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন আন্দোলন চলবে। সোমবার তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের যুগ্মসচিব গিয়েও ওই ছাত্রছাত্রীদের অনশন থেকে নিরস্ত করতে পারেননি।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, পাঁচ বছরেও তাঁদের কোনও স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি হয়নি। বছরে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করেও তাঁরা থাকা এবং পড়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো পাচ্ছেন না। যত দিন তা না হয় সেই পর্যন্ত মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের অধীনস্থ খড়গপুর আইআইটি, শিবপুর বা এনআইটি দুর্গাপুরে রাখা বা ক্লাস করানোর বিকল্প ব্যবস্থাও হয়নি। এই সেমিস্টার থেকেই সেই ব্যবস্থা করতে হবে বলে পড়ুয়াদের দাবি। খড়্গপুর আইআইটি-র অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী এই প্রতিষ্ঠানের মেন্টর অধিকর্তা। কয়েক দিন আগে ক্যাম্পাসে এসেও তিনি সুরাহার আশ্বাস দিতে পারেননি। অনশনরত ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া এখনও কার্যত দর্শকের ভূমিকায় প্রতিষ্ঠানের কর্তারা।

শেষমেশ কী ভাবে এই জট খোলে, জল মাপছে সব পক্ষই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE