E-Paper

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান টিএমসিপির

মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন টিএমসিপির সদস্যরা। ঘণ্টা তিনেক ধরে বিক্ষোভ চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৩
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা।

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা। —নিজস্ব চিত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনও উপাচার্য। নেই রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ামকও। অভিযোগ, এর ফলে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন, ভর্তি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কয়েকটি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ নিয়েও ‘অচলাবস্থা’ চলছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অচলাবস্থার’ জন্য রাজ্যপালকে দায়ী করে আন্দোলনে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)।

মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন টিএমসিপির সদস্যরা। ঘণ্টা তিনেক ধরে বিক্ষোভ চলে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, টিএমসিপির জেলা সভাপতি নাজমুল মিঞা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভীষ্মদেব কর্মকারেরা এতে শামিল হন। নাজমুলের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যপাল অন্যায় ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে, উচ্চশিক্ষায় হস্তক্ষেপ করছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’’ রুবিয়া বলেন, ‘‘রাজ্যপাল রাতারাতি বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ করে দিচ্ছেন। তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।’’ যদিও বিজেপি নেতা শাখারভ সরকারের পাল্টা তোপ, ‘‘রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য কী, তা ওঁরা জানেন না। সেই জন্যই এমন মন্তব্য করছেন।’’

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন মাস ধরে উপাচার্য নেই। বর্তমানে নেই রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ামকও। শুধুমাত্র একজন ফিনান্স অফিসার রয়েছেন। গত ৩১ অগস্ট থেকে রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ামকের পদও শূন্য পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে সাঁওতালি মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। তবে সোমবার রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর ফের ভর্তি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেওয়ায় সাঁওতালি মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতেই ভর্তির সংক্রান্ত পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়। তবে এতদিন বিষয়টি ঝুলে থাকায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ। এ ছাড়া, অনেক আগে স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষা হয়ে গেলেও এখনও তার ফল প্রকাশিত হয়নি। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বছরের ফল প্রকাশ করতে হলে উপাচার্যের প্রয়োজন হয়। উপাচার্য না থাকায় ফলপ্রকাশ আটকে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার নরোত্তম মণ্ডলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে মন্তব্য করার এক্তিয়ার
আমার নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMCP Murshidabad University Protest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy