Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
‘স্পিড লিমিট ডিভাইস’ লাগানোর নির্দেশ

গতি মাপার যন্ত্র মেলেনি, নামছে না বাস

দুর্ঘটনা এড়াতে ‘স্পিড লিমিট ডিভাইস’ (এসএলডি) লাগাতেই হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর। তা অগ্রাহ্য করলে ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ সব মডেলের গাড়ির জন্য এসএলডি মিলছে না বলে অভিযোগ। ফাঁপরে পড়েছেন বাস মালিকরা।

‘স্পিড লিমিট ডিভাইস’

‘স্পিড লিমিট ডিভাইস’

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৭
Share: Save:

দুর্ঘটনা এড়াতে ‘স্পিড লিমিট ডিভাইস’ (এসএলডি) লাগাতেই হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর। তা অগ্রাহ্য করলে ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ সব মডেলের গাড়ির জন্য এসএলডি মিলছে না বলে অভিযোগ। ফাঁপরে পড়েছেন বাস মালিকরা।

পরিবহণ দফতরের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, চালক সহ ন’জনের আসন রয়েছে এমন বাণিজ্যিক গাড়ি এবং গাড়ি-মালপত্র সমেত যে গাড়ির ওজন সাড়ে তিন হাজার কেজি হবে সেই সব গাড়িতে এসএলডি লাগবে। ভারত ফেজ-৩ ও ৪ মডেলের বাস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। ডাম্পার ও লরি চলবে ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিতে, ছোট গাড়ি ও ট্রেকার ৮০ কিলোমিটার, অটো ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। এই নিয়ন্ত্রণ যাতে জারি থাকে, তার জন্যই এসএল়ডি লাগানো বাধ্যতামমূলক।

মুর্শিদাবাদ জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক অনন্তচন্দ্র সরকার জানান, ১৭টি সংস্থার যন্ত্র লাগানো যাবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ জারি করলেও রাজ্য প্রশাসন তার মধ্যে থেকে অটোগেট, কনভার্ট, রোজমাটা ও ইকোগ্যাস নামে চারটি সংস্থাকে বেছে নিয়েছে। সেগুলির যন্ত্র লাগানোর পরেই ফিটনেস সার্টিফিকেট মিলবে।

গোল বেধেছে এখানেই। নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, “সরকারের নির্দেশ মেনে এসএলডি লাগাতে চাইছি আমরা। অনেক মডেলের গাড়ির এসএলডি ডিলারদের কাছে মিলছে না।”


এসএলডি লাগানো হলে হয়তো অনেকটাই কমবে এই রকম রেষারেষি। জাতীয় সড়কে। নিজস্ব চিত্র

কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রুটে বাস চলে মাজদিয়ার স্বপন মণ্ডলের। তাঁর দাবি, “আমার বাসের মডেলের এসএলডি পাইনি। তাই ফিটনেস সার্টিফিকেট পাচ্ছি না। দশ দিন ধরে বাস রাস্তায় নামাতে পারিনি।” আশিস তরফদার নামে আর এক বাস মালিকও একই চক্করে পড়েছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজি করে তিনি এসএলডি জোগাড় করে বাস নামাতে পেরেছেন। কৃষ্ণনগরের এসএলডি ডিলারের কর্মী শরদিন্দু ঘোষ বলেন, “আমাদের কাছে ৩১২ মডেলের এসএলডি সরবরাহ নেই। অন্যান্য মডেলের যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। ৩১২ মডেলের গাড়ির মালিকদের আমরা অন্যত্র খোঁজ নিতে বলেছি।” বহরমপুরে পঞ্চাননতলা ও চুঁয়াপুরে পরিবহণ দফতর অনুমোদিত দু’টি শো’রুমে এসএল়়ডি পাওয়া যাচ্ছে বলে কর্তারা জানিয়েছেন।

নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, “এসএলডি ডিলারদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। সব মডেলের এসএলডি যাতে গাড়ির মালিকেরা পান, তার জন্য ডিলারদের সঙ্গেও কথা বলব।”

(সহ প্রতিবেদন: শুভাশিস সৈয়দ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE