উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দাদের পরে, এ বার অসম সরকারের ‘ফরেনার্স ট্রাইবুনাল’-এর নোটিস পেলেন দুই নদিয়াবাসী। দু’জনেরই বাড়ি ধুবুলিয়ার শোনডাঙা গ্রামে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নোটিস পেয়েছেন সঞ্জু সাই শেখ ও আসাদ আলি শেখ। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁরা দু’জন অসমের যোরহাটে কাজে গিয়েছিলেন। সেই সূত্রে গত অগস্টে জারি করা হয়েছে এই নোটিস। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে বৈধ নথি ছাড়া অসমে ঢোকার। নোটিসে আসাদকে ৯ এবং সঞ্জুকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিপত্র নিয়ে অসমে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই দু’জনের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর করে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। মহুয়া এ দিন বলেন, “নির্বাচনের আগে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এটা বিজেপির খেলা। এমন চিঠি পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানাবেন। গুরুত্ব দেবেন না। অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনালের অধিকার নেই বাংলায় প্রবেশ করার, অধিকার নেই পশ্চিমবঙ্গের বৈধ নাগরিকে এমন চিঠি দিয়ে আতঙ্কিত করার।” বিজেপির কিসান মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “তৃণমূল এনআরসির আতঙ্কে ভুগছে। ওই চিঠি অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনাল থেকে পাঠিয়েছে, না তৃণমূলের খেলা, ভাল করে না দেখে মন্তব্য করব না।”
আসাদ বলেন, “১৫ বছর আগে অসমে মার্বেলের কাজে গিয়েছিলাম। সে জন্য এমন নোটিস আসবে কল্পনাও করিনি। আমরা কাগজ নিয়ে অসমে যাব কেন? আমরা এখানে জন্মেছি, যা হওয়ার এখানে হবে।” সঞ্জু বলেন, “চিঠিটা পাওয়ার পরে একটু ভয় লাগছে। তবে আমার জন্ম এখানে। অসমে যেতে যাব কেন?”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)