সব কিছু দেখেও উদাসীন থেকেছে প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত তাই নিজেরাই অবৈধ বালি খাদান ভেঙে দিল স্থানীয় মানুষ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা শান্তিপুরের নৃসিংপুরের কালনা ঘাটের পাশে চারটি অবৈধ বালির খাদান ভেঙে দেয়।
বছর তিনেক আগে কালনা ঘাটের পাশে চারটি পুকুর খনন করা হয়। বালির বস্তা দিয়ে সেই সেই পুকুরের চারপাশটা উচুঁ করা হয়। নৌকার সাহায্যে মেশিনের মাধ্যমে পাইপে করে ভাগীরথী নদীর তলদেশ থেকে বালি তোলা হয়। তারপর সেই বালি লোহার পাইপের মাধ্যমে এনে ফেলা হয় ওই পুকুর বা খাদানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিন এই খাদান থেকে প্রায় শ’খানেক লরি ও ট্রাক্টর বালি নিয়ে যায়। এতে নদীর পাড়ে ফাটল তৈরি হচ্ছে। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের কথায়, ‘‘এতে নদীর স্বাভাবিক গতি বিঘ্নিত হচ্ছে। ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে নিজেরাই খাদান ভাঙার সিদ্ধান্ত েনন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজা মণ্ডল বলেন, “নৃসিংহপুর বাজার লুপ্ত হয়ে যাবে। ফলে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয় নি।’’ ছ’জন মিলে এই বালির খাদানগুলি চালাত। তাঁদেরই একজন নান্টু রায়ের দাবি, “সেচ দফতরের অনুমতি নিয়েই বালি তুলছি।’’ সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সঞ্জয় সিংহ বলেন, “বালি খাদানের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’ কোনওরকম অনুমোদন ছাড়াই কী ভাবে চলছে এই বালি খাদান। রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “সেচ দফতরকে ওই ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’ হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নমিতা সরকার এ ব্যাপারে নিশ্চূপ। জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের নিমাই চন্দ্র বিশ্বাসের সাফাই, “জানতাম ওই খাদােন সেচ দফতরের অনুমোদন আছে। তাই এতদিন কিছু বলা হয়ে ওঠেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy