প্রতীকী ছবি।
রবিবার ছিল জন্মদিন। মেয়ে এসেছিলেন বাপের বাড়িতে। সেখানেই পালন হয় তাঁর জন্মদিন। সে দিনই ফিরে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। পরদিন মিলল সেই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। সোমবার নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি মাঠপাড়ার ঘটনা।
বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, অতিরিক্ত পণ চেয়ে চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চলত অত্যাচার। তা সইতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বপ্না দাস (১৯) নামে ওই তরুণী। তাঁরা মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বপ্নার বাবা সুখরঞ্জন পোদ্দারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার শ্বশুরবাড়ি লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার দেওয়ার মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে স্বপ্নাকে ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। স্থানীয়েরা ওই তরুণীকে বেথুয়াডহরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বপ্নার বাবা সুখরঞ্জন পোদ্দার বলেন, ‘‘রবিবার আমার মেয়ের জন্মদিন ছিল। আমার বাড়িতে ওর জন্মদিন পালিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিল। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। ওরা জোর করে নিয়ে গেল। সকালে মেয়েকে টাকার জন্যে অপমান করতে থাকে। তা সহ্য করতে না পেরে মেয়েটা মরে গেল।’’
মৃতার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর স্বপ্নার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনও খবর দেয়নি। পাড়ার লোকজনের মুখে ওই দুঃসংবাদ পান। হাসাপাতালে গিয়ে দেখেন, স্বপ্না নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।
স্বপ্নার কাকা ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার জানান, গত বছর স্বপ্নার সঙ্গে পাড়ারই যুবক সন্দীপ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। দিন কয়েক যেতে না যেতে স্বপ্নার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার শুরু করে। বাপের বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনা ও মোটরবাইক আনার জন্য চাপ দেয়। স্বপ্নার বাবা সুখরঞ্জন পেশায় রিকশাচালক। তিনি তা দিতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু তার জন্য খানিক সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে অত্যাচার আরও বাড়ে। তা সহ্য করতে না পেরে স্বপ্না আত্মঘাতী হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy