অপহৃত সুমিত। নিজস্ব চিত্র।
অপহরণের তিন দিনের মাথায় উদ্ধার হলেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সুমিত কুমার মিত্র নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি কল্যাণী পুর-এলাকায়। শুক্রবার এই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের নাম তন্ময় কর্মকার, মোহিত মোল্লা ও প্রবালকান্তি দাস। তিন জনের বাড়িই নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। নদিয়ার জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করে তাঁদের ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে সুমিতবাবুর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, এক কাপড়ের ব্যবসায়ী সফটওয়্যারের কিছু কাজের বরাত দিতে চান। সেই মতো সুমিতবাবু চলতি মাসের ২ তারিখে নাকাশিপাড়া স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে তিন দুষ্কৃতী তাঁকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ঘণ্টাখানেক এ দিক-সে দিক ঘোরানোর পর ৫০ হাজার টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা সুমিতবাবুর পরিবারকে ফোন করে।
শর্ত অনুযায়ী সুমিতবাবুর বাবা উমাচরণ মিত্র ছেলের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা দেন। অপহরণকারীরা সেই টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলে নেয়। ৩ জুলাই ফের ফোন করে দু’লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। বলা হয় শুক্রবারের মধ্যে টাকা দিতে হবে। এরপরই সুমিতবাবুর পরিবারের লোকজন কল্যাণী থানায় অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেন। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) অভিষেক মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল তৈরি করা হয়। শুক্রবার অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিতে আসে অপহরণকারীরা। নাকাশিপাড়া থানা থেকে বেশ খানিকটা দূরে এক নির্জন জায়গায় এসে উপস্থিত হয় দুষ্কৃতী দল। সেখানে দু’জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পরে আরও এক জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। উদ্ধার হন অপহৃত তরুণ ইঞ্জিনিয়ারও। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি মোবাইল ফোন ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।
কংগ্রেসে যোগ। বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কাছে এসে সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গীতারানি মণ্ডল। বহরমপুরে দলের জেলা কার্যালয়ে অধীর চৌধুরী গীতাদেবীর হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “দলত্যাগের খবর আমার জানা নেই। ফলে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy