পরপর দু’বার মেয়ে জন্মেছে। তাদের বিয়ের দায়িত্ব নিতে হবে মাকে। তাই বাপের বাড়ি থেকে এনে দিতে হবে মোটা টাকা।
শ্বশুরবাড়ির দাবি মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ জানালেন মৃতার বাবা। বুধবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শেখ আলাউদ্দিন। তাঁর মঙ্গলবার গভীর রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর মেয়ে নুরজাহান বিবি (২৮)। ঘটনায় মৃতার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য অভিযুক্তরা পলাতক।
সুতির আরজি রমাকান্তপুরের বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, বছর আটেক আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন রামডোবা গ্রামের কবিরুল শেখের সঙ্গে। বিয়ের চার বছর পর তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তান হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে দাবি করা হয় মেয়ের মামার বাড়িকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কারণ সেই টাকা লাগবে নাতনির বিয়ের কাজে। সে বার দাবি মিটিয়ে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, “জামাই বলে, সদ্যোজাত কন্যা সন্তান হওয়ায় তার বিয়ের দায় আমাকেই নিতে হবে। মেয়ের বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে সে সময় কষ্ট করেও টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু এ বারও টাকা চেয়েছিল। আর দিতে পারিনি।”
বছর দুই আগে নুরজাহান বিবি আরও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সেই থেকেই চলছিল অত্যাচার। দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হওয়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। দিনমজুর পরিবারের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে অশান্তি হত। মেয়েকে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ করেছেন আলাউদ্দিন। বেশ কয়েকদিন আগে অশান্তি সহ্য রতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন নুরজাহান। কিন্তু ঈদের আগে আবার তাঁকে শ্বশুরবাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যান বাবা। মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ জানতে পারেন তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy