Advertisement
১৯ মে ২০২৪

পরীক্ষা দেওয়া হল না ২০ জন কলেজ পড়ুয়ার

ভরসা করে কলেজের ছাত্র সংসদের দাদাদের মাধ্যমে পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করেছিলেন শান্তিপুর কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। সেই দাদাদের হাতে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত টাকাও তুলে দিয়েছিলেন ওই পড়ুয়ারা। কিন্তু পরীক্ষার দিনেও তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট কার্ড। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার মাঝপথেই তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হল। ফলে এবছর আর বিএ, পার্ট ২ পরীক্ষা দেওয়া হল না শান্তিপুর কলেজের কুড়ি জন ছাত্র-ছাত্রীর। শান্তিপুর কলেজের ছাত্রদের পরীক্ষাকেন্দ্র নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে আর ছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্র কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০২:১১
Share: Save:

ভরসা করে কলেজের ছাত্র সংসদের দাদাদের মাধ্যমে পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করেছিলেন শান্তিপুর কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। সেই দাদাদের হাতে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত টাকাও তুলে দিয়েছিলেন ওই পড়ুয়ারা। কিন্তু পরীক্ষার দিনেও তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট কার্ড। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার মাঝপথেই তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হল। ফলে এবছর আর বিএ, পার্ট ২ পরীক্ষা দেওয়া হল না শান্তিপুর কলেজের কুড়ি জন ছাত্র-ছাত্রীর। শান্তিপুর কলেজের ছাত্রদের পরীক্ষাকেন্দ্র নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে আর ছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্র কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, “অ্যাডমিট কার্ড না থাকার কারণে পরীক্ষা শুরু হওয়ার বেশ কিছু সময় পরে আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি।” কিন্তু কেন এমন হল? কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “ওই কুড়ি জন ছাত্র-ছাত্রী ফর্ম ফিল-আপ করেননি বলেই তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড আসেনি।” তিনি বলেন, “বিষয়টি জানার পরে মানবিকতার জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করা হয়েছিল যাতে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো ওঁরা দিতে পারেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।”

পরীক্ষা দিতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্য জানিয়েছেন, “ছাত্র সংসদের দাদারা আমাদের বলেছিল যে, ফর্ম ফিল-আপের সব ব্যবস্থাই তারা করে দেবে। সেই মতো আমরা তাদের হাতে টাকা-সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু তুলে দিয়েছিলাম। তখনও একবারও ভাবতে পারিনি যে একটা বছর এভাবে নষ্ট হতে পারে।” তাঁদের অভিযোগ, “অন্যরা যখন অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গেল আমরা তখন ওই দাদাদের গিয়ে ধরি। তখনও তারা বলে এসেছে যে, আমরা অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে যাব। শেষে তারা বলে যে আমরা পরীক্ষাকেন্দ্রে গেলে সেখানেই তারা আমাদের অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দেবে।” ওই পড়ুয়াদের কথায়, “সংসদের দাদাদের বিশ্বাস করায় জীবনে এতবড় ক্ষতি হয়ে যাবে একবারের জন্যও বুঝতে পারিনি। শুনছি আমাদের ফর্ম ফিল-আপের টাকা জমা না দিয়ে তারা নিজেরা আত্মসাৎ করে দিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনোজ সরকার বলেন, ‘‘এমন কোনও কাজের সঙ্গে আমাদের সংসদের কেউ যুক্ত নয়। বাইরের কেউ যদি টাকা নিয়ে এমনটা করে থাকে তার দায় আমাদের নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE