মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারি চালাতে গিয়ে শিক্ষক-সঙ্কটে ভুগছে স্কুল।
মুর্শিদাবাদ জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে ১১০টি স্কুলে, ২৩টি স্কুলে রয়েছে উপকেন্দ্র। ১১০টি স্কুলে দু’জন করে এবং উপকেন্দ্রগুলিতে ১ জন করে ‘বোর্ড নমিনি’ হিসেবে মোট ২৪৩ জন হাইস্কুলের শিক্ষককে নজরদারির কাজে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৫টি মহকুমায় ৫ জন ও জেলায় ১ জন আহ্বায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৪৯ জন শিক্ষক স্কুলে যাচ্ছেন না। এমনিতে জেলার ৯২৬টি হাইস্কুল থেকে ২৪৯ জন শিক্ষক তুলে নজরদারির কাজে লাগালে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে বেশ কিছু হাইস্কুল থেকে ৪-৫ জন করে শিক্ষক তুলে নেওয়ায়।
রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের গোবিন্দপুর হাইস্কুল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৫ জন শিক্ষককে। শুধু তাই নয়, মাত্র দু’মাস আগে চাকরিতে ঢুকেছেন এমন দু’জন শিক্ষককে এবারে ‘বোর্ড নমিনি’ করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “৫ জনকে তুলে নেওয়ার ফলে স্কুলের বহু ক্লাস বাদ যাচ্ছে। ভূগোলের দু’জন শিক্ষক মাস দুই আগে স্কুলে যোগ দিয়েছেন। একই বিষয়ের দুই শিক্ষককে তুলে নেওয়ায় অসুবিধেয় পড়তে হচ্ছে বেশি।”
৪ জন শিক্ষককে নেওয়া হয়েছে সাগরদিঘির এসএন হাইস্কুল থেকে। প্রধান শিক্ষক তামিজুদ্দিন মল্লিক বলেন, “৪ জনকে বোর্ড নমিনি করা ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলে গার্ড দেওয়ার জন্য ৩ জনকে পাঠাতে হচ্ছে। স্কুলগুলি থেকে এক-দু’জন করে নিলে এই সমস্যা হত না।” এবিটিএ-র রাজ্য সভাপতি বদরুদ্দোজা খান দীর্ঘ দিন মুর্শিদাবাদ জেলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মাধ্যমিকের নজরদারির দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি বলেন, “আগে স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মূলত এই কাজে নিয়োগ করা হত। স্কুলগুলি থেকে নেওয়া হত এক বা দু’জন শিক্ষককে। ফলে অসুবিধা হত না। এখন তো আমাদের আর ডাকেই না।”
জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বিমল পাণ্ডে বিষয়টি শিক্ষা দফতরের হাতে নেই বলে দায় এড়িয়েছেন। এ বারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মাধ্যমিকের নজরদারির দায়িত্ব দিয়ে জেলা আহ্বায়ক করা হয়েছে যাঁকে, সেই তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা চেয়ারম্যান শেখ ফুরকান বলেন, “কিছু সমস্যা হয়েছে এটা ঠিক। ভবিষ্যতে একই স্কুল থেকে যাতে বেশি শিক্ষক না নেওয়া হয় তা অবশ্যই দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy