পুলিশের উপরে হামলা ও আসামীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অভিযোগে পাঁচ জন মহিলা-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিপুরের তোপখানা-রাজপুতপাড়া লেনে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিটন বিশ্বাসকে ধরতে গিয়ে মহিলাদের হাতে আক্রান্ত হন শান্তিপুরের ওসি-সহ চার পুলিশকর্মী। পুলিশের হাত থেকে ওই দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। খোয়া যায় ওসি পার্থপ্রতিম রায়ের সোনার হারও খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রমনের মুখে পড়ে পুলিশ তখনকার মতো ফিরে আসে। বুধবার গভীর রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিটন বিশ্বাসের বাবা নুরুল ইসলাম বিশ্বাস একজন পুলিশকর্মী। তিনি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় এএসআই পদে কর্মরত। এর আগেও ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ বিটনকে একবার তার বাড়িতে ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু সেবারেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। সেই সময় ওসি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে বিটনের মা আদালতে অভিযোগ করেছেন।
নুরুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, “ওসির বিরুদ্ধে আমার স্ত্রী অভিযোগ করাতেই এত রাগ। আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। আমার স্ত্রী মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করবে।” তাঁর দাবি, “আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”
তবে শান্তিপুর থানার পুলিশের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই বিটন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও ডাকাতি-সহ একাধিক অভিযোগ আছে। শান্তিপুর কলেজে ছাত্র সংসদ গঠনের দিন কলেজের বাইরে মিছিল করছিলেন কলেজের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোজ সরকার। সেই মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয় একজন। সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত এই বিটন।
জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা আসামীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধেই তো মারধরের অভিযোগ করছেন আর একজ পুলিশকর্মী। পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশের ভূমিকা নিয়েও যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy