Advertisement
১৮ মে ২০২৪

হেরোইন পাচারে ধৃত তিন স্কুল পড়ুয়া

হেরোইন পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন স্কুল পড়ুয়া-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালগোলার হোসনাবাদ হাইস্কুলের একটি আম বাগান থেকে ইয়াকুব শেখ নামে এক পাচারকারীর সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির দুই ও দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩৮
Share: Save:

হেরোইন পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন স্কুল পড়ুয়া-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালগোলার হোসনাবাদ হাইস্কুলের একটি আম বাগান থেকে ইয়াকুব শেখ নামে এক পাচারকারীর সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির দুই ও দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। লালগোলার বাসিন্দা ধৃত চার জনকে রবিবার লালবাগ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক এক পড়ুয়াকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান। বাকি তিন জনের জেল হেফাজত হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত চলছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এক পড়ুয়া লালগোলার লতিফের পাড়ার বাসিন্দা হেরোইন ব্যবসায়ী নিয়ামত শেখ ওরফে বাবুর কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন কিনে নিয়ে তা পাচার করছিল। সেই খবর পেয়ে ওসি জামালুদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বে লালগোলা থানার পুলিশ ওই চার জনকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে পড়ুয়াদের দু’জন মাস খানেক ধরে পাচারকারী হিসেবে কাজ করছে। আর এক পড়ুয়া বছর খানেক আগে থেকে হেরোইন কেনাবেচার পাশাপাশি পাচারকারী হিসেবেও কাজ করে। গ্রেফতারের সময়ে ধৃত তিন স্কুল পড়ুয়ার কাছ থেকে মিলেছে দামি মোবাইল। পুলিশ জানায়, ওই তিন ছাত্রের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল। পারিবারিক অ্যালুমিনিয়ামের ট্রাঙ্ক তৈরির ব্যবসা রয়েছে। মোটা অঙ্কের অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যেই মূলত তারা পাচারের পথ বেছে নিয়েছে। জেরা করে পুলিশ জেনেছে, লালগোলার আসাড়িয়াদহ ঘাট পেরিয়ে বাংলাদেশে তারা ওই হেরোইন পাচার করত।

তবে স্কুল পড়ুয়াদের মাদক পাচারকারী হিসেবে গ্রেফতারের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও লালগোলায় মাদক পাচারকারী হিসেবে ধরা পড়েছে বেশ কয়েক জন স্কুল পড়ুয়া। তার মধ্যে গত ২০০৮ সালে লালগোলার সীমান্তে হেরোইন পাচারের সময়ে বিএসএফের জওয়াদের হাতে ধরা পড়ে ৮ ও ১০ বছরের দুজন খুদে পড়ুয়া। সংসার খরচ হিসেবে মায়ের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য সীমান্ত দিয়ে তারা মাদক পাচার করে বলে জেরায় তারা স্বীকার করে।

লালগোলা এমএন একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষা বা সংস্কৃতির বাহক না হয়ে কিছু ছাত্র অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ওই ছাত্ররা ভাল-মন্দ বিচার করার ভাবনা হারিয়ে ফেলছে। তাদের নিয়মিত কাউন্সেলিং-এরও প্রয়োজন রয়েছে। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি আমাদেরও উচিত ছাত্রদের সামাজিক শিক্ষা দেওয়া।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

berhampore smuggler
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE