মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সদ্যসমাপ্ত বাদল অধিবেশনে বাংলা দিবস প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নেননি ৪২ জন তৃণমূল বিধায়ক। ওই ইস্যুতে ভোটাভুটিতে বিধায়কদের অনুপস্থিতি চোখ টেনেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপরেই এ বিষয়ে অনুপস্থিত বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা। কমিটির চেয়ারম্যান তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী শোভনদেব বলেন, ‘‘এ বার থেকে বিধানসভার অধিবেশনের সময় মন্ত্রীরা পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে এসে হাজিরা খাতায় সই করে যাবেন। আর বিধায়কেরা মুখ্যসচেতকের ঘরে গিয়ে সই করে যাবেন।’’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘অধিবেশনের সময় যে সব বিধায়ক অনুপস্থিত থাকবেন, প্রতি সপ্তাহে তাঁদের নাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’’
দলের এই পদক্ষেপের কারণ প্রসঙ্গে শোভনদেব বলেন, ‘‘বিধায়করা নিজ নিজ এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে আসেন। তাঁরা বিধানসভায় সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু তাঁরাই যদি নিজের দায়িত্ব পালন না করেন, নিজের এলাকার কথা এসে বিধানসভায় না বলেন, শুধুমাত্র এসে সই করে চলে যান তবে মুশকিল। কোনও আলোচনায় অংশ না নেওয়া ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ না করা শুধু অপরাধই নয়, দলবিরোধী কাজও বটে।’’ বাংলা দিবস নিয়ে ভোটাভুটিতে ১৬৭-৬২ ভোটে পাশ হয় প্রস্তাব। তৃণমূলের ২১৬ জন বিধায়ক থাকলেও, এতজন বিধায়কের ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বৈঠকে বসে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। সেই মতো বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বিদেশ থেকে ফিরলেই তাঁকে এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অবগত করাবেন মন্ত্রী শোভনদেব। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সম্মতি দিলেই তা তৃণমূল বিধায়কদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy