Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Presidency Jail

Narada Scam: মাঝরাতে নিজাম প্যালেসে হাজির ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম

রাত গড়ালেও বাবার টানে এ বার নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সির জেলের দিকে পা বাড়ান প্রিয়দর্শিনী।

ফিরাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী

ফিরাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ০২:১০
Share: Save:

আদালতের জামিন সত্ত্বেও ছাড়া পাননি। বরং অন্তর্বর্তী জামিনে কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের জেরে সোমবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে হয়েছে নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ হাকিম-সহ ৪ নেতা-মন্ত্রীকে। তবে তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার আগে বাবাকে দেখতে মাঝরাতেই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের কার্যালয়ে ছুটে গেলেন ফিরহাদ হাকিমের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী ইয়াসির হায়দারও।

নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ফিরহাদ-সহ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে সোমবার সারা দিন ধরেই উত্তাল বাংলা। তবে এ নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র রাজনৈতিক তরজার মাঝে মাঝরাতে নিজাম প্যালেসে তৈরি হল চরম নাটকীয় মুহূর্ত! ফিরহাদের এখনই বাড়ি ফেরা অসম্ভব জেনেও তাঁকে দেখতে গেলেন প্রিয়দর্শিনী। তবে তাঁর চোখের সামনে দিয়ে ফিরহাদদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যায় সিবিআই। রাত গড়ালেও বাবার টানে এ বার নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সির জেলের দিকে পা বাড়ান প্রিয়দর্শিনীরা। সেখানে ব্যারিকেডের ও পার থেকেই বাবার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁকে।

বুধবার হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন ফিরহাদ-সুব্রত-শোভন-মদন। তবে জেলের বাইরে অপেক্ষা ফুরোয়নি প্রিয়দর্শিনীর। সংবাদমাধ্যমের কাছে ফিরহাদদের গ্রেফতারিকে ‘বিজেপি-র যড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে তৃণমূল কর্মী, সমর্থক-সহ গোটা বাংলার মানুষের কাছে শান্ত থাকার আবেদনও করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, বিধানসভা ভোটে হারার পর বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায় বিজেপি। তাই এই গ্রেফতারি। তবে আইনের পথ ধরেই বাবাকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর কন্যা প্রিয়দর্শিনী!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE