Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Vishwa Bharati

রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বড়দা বলে গেলেন মোদী, কটাক্ষ ব্রাত্যর

স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্যের সমালোচনা করেন ব্রাত্য। কলকাতার গৌরবগাথাকে ছোট করে দেখার অভিযোগ তাঁর। 

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৫৯
Share: Save:

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উঠে এসেছে ঠাকুর পরিবারের একের পর এক প্রসঙ্গ। উঠেছে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ। এসেছে জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর কথাও। এ বার সেই নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী, তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আমাকে অবাক করেছে।’’

ব্রাত্যর প্রশ্ন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে আগাগোড়া কেন বড়দা বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী?’’ একথা সত্যি রবীন্দ্রনাথের মেজদা ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর স্ত্রী ছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। সত্যেন ঠাকুরের স্ত্রী-র নাম বলতে গিয়েও মোদী ভুল উচ্চারণ করে ‘জ্ঞানন্দিনী’ বলেছেন বলে অভিযোগ করেন ব্রাত্য।

ব্রাত্যর বক্তব্য, মোদী তাঁর কথায় ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে গুজরাতের যোগাযোগের কথা বলতে গিয়ে বলেন, গুজরাতি মহিলাদের থেকে শাড়ির আঁচল ডানদিকে দিতে শিখেছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। ব্রাত্যর অভিযোগ, ‘‘অর্ধসত্য বলেছেন মোদী। শুধু গুজরাতিদের থেকে নয়, পার্সিদের থেকেও এই শাড়ি পড়ার কৌশল আয়ত্ব করেছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী। কিন্তু পার্সিদের নাম নিলেন না মোদী।’’ বহুত্ববাদী রবীন্দ্রনাথের কথা বলে গিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতির প্রমাণ দিলেন মোদী, মত তাঁর।

স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন ব্রাত্য। বলেন, ‘‘স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান আছে, তার উল্লেখ করতে গিয়ে মোদী দিল্লি থেকে লাহৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করলেন। কিন্তু কোথাও একবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উচ্চারণ করেননি। অথচ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটা একবার মুখে নিতে পারলেন না।’’ ব্রাত্যর কথায় বৃহস্পতিবার উঠে এসেছে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ থেকে তৈরি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যের অধীনে থাকা এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরবগাথা না উল্লেখ করে দুঃখ দিয়েছেন মোদী।’’ কলকাতার গৌরবগাথাকে ছোট করে দেখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ব্রাত্য। বিস্মৃতির অতলে কলকাতার ইতিহাসকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মত তাঁর।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে রহস্য জাগানোর পর টুইটারে ‘দিদির সঙ্গেই’ জিতেন্দ্র

আরও পড়ুন:বিশ্বভারতীর শতবর্ষে আমন্ত্রণই পাননি মুখ্যমন্ত্রী, দাবি তৃণমূলের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE