বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উঠে এসেছে ঠাকুর পরিবারের একের পর এক প্রসঙ্গ। উঠেছে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ। এসেছে জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর কথাও। এ বার সেই নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী, তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আমাকে অবাক করেছে।’’
ব্রাত্যর প্রশ্ন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে আগাগোড়া কেন বড়দা বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী?’’ একথা সত্যি রবীন্দ্রনাথের মেজদা ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর স্ত্রী ছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। সত্যেন ঠাকুরের স্ত্রী-র নাম বলতে গিয়েও মোদী ভুল উচ্চারণ করে ‘জ্ঞানন্দিনী’ বলেছেন বলে অভিযোগ করেন ব্রাত্য।
ব্রাত্যর বক্তব্য, মোদী তাঁর কথায় ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে গুজরাতের যোগাযোগের কথা বলতে গিয়ে বলেন, গুজরাতি মহিলাদের থেকে শাড়ির আঁচল ডানদিকে দিতে শিখেছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। ব্রাত্যর অভিযোগ, ‘‘অর্ধসত্য বলেছেন মোদী। শুধু গুজরাতিদের থেকে নয়, পার্সিদের থেকেও এই শাড়ি পড়ার কৌশল আয়ত্ব করেছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী। কিন্তু পার্সিদের নাম নিলেন না মোদী।’’ বহুত্ববাদী রবীন্দ্রনাথের কথা বলে গিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতির প্রমাণ দিলেন মোদী, মত তাঁর।