Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালির উপর নজর নির্বাচন কমিশনের, রোজ রিপোর্ট যাচ্ছে দিল্লিতে, পরের বুধে ‘বিশেষ বৈঠক’

আগামী ৪ মার্চ রাজ্যে আসার কথা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ কমিশনের ফুল বেঞ্চের। ৫ মার্চ স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দল এবং জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাদের।

সন্দেশখালির রিপোর্ট যাচ্ছে দিল্লিতে।

সন্দেশখালির রিপোর্ট যাচ্ছে দিল্লিতে। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৩
Share: Save:

সন্দেশখালির পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে প্রতি দিন কী ঘটছে, তার রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে। তেমনটাই খবর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর সূত্রে।

গত জানুয়ারির শুরুতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর চলতি মাসের শুরু থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সেখানে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের মদতে জমি দখল, দুর্নীতি, স্থানীয়দের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে প্রায় রোজই কোনও না কোনও কারণে সরগরম থাকছে এই দ্বীপ এলাকা। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে, যে হেতু আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাই সন্দেশখালি নিয়ে প্রত্যেক দিন রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে কমিশন। সেই মতো সিইও-র দফতর থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সন্দেশখালি যে জেলার অন্তর্গত, সেই উত্তর ২৪ পরগনা-সহ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কমিশনের ‘বিশেষ বৈঠক’ হওয়ার কথা। ওই সূত্রই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিআরপিএফের নোডাল অফিসারের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠকও করেছেন সিইও।

আগামী ৪ মার্চ রাজ্যে আসার কথা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ কমিশনের ফুল বেঞ্চের। ৫ মার্চ স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দল এবং জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাদের। ৬ মার্চ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা কমিশন-কর্তাদের। ভোট বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ওই বৈঠকে ভোটের সঙ্গে যুক্ত সব ক’টি বিষয় আলোচনায় আসে। বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এত দিন ধরে পাওয়া আইনশৃঙ্খলা রিপোর্টের সঙ্গে বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখা হয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং ভূমিকা। এলাকায় কারা গোলমাল পাকাতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়, তাদের ধরতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চায় কমিশন। একই সঙ্গে আগের ভোটগুলিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের তথ্যও থাকতে হয়।

অভিজ্ঞ আধিকারিকদের অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সন্দেশখালি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিভিন্ন সময়ে কড়া বার্তা শোনা গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের তরফেও। তা নজরে রেখেই কমিশন সন্দেশখালির রিপোর্ট চাইছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sandeshkhali Incident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE