সূচনা: শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে কলকাতা যাওয়ার সরকারি এসি বাস পরিষেবা চালু করলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। ছবি: স্বরূপ সরকার
শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য ভলভো বাস চালু করেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। শুধু তাই নয়, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্যও চালু করা হয়েছে বাতানুকূল ভলভো বাস। জলপাইগুড়ি কোনও বাস না পাওয়ায় ক্ষোভ দানা বেঁধেছে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে। বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দারাও।
আলিপুরদুয়ারগামী বাস জলপাইগুড়ি শহরের পাশ দিয়ে কোচবিহার হয়ে আলিপুরদুয়ার যাবে। ওই বাস কেন জলপাইগুড়ি ঢুকবে না সেই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ভলভো বাস পরিষেবার মধ্যে জলপাইগুড়িকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের কাছে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই বাসটাকে জলপাইগুড়ি শান্তিপাড়ায় এনবিএসটিসি ডিপোতে দাঁড় করানো হোক। পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের জন্য বাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন রাখার দাবিও করেছেন তাঁরা। দাবি উঠেছে শিলিগুড়ির বাসটাকে জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করার জন্যও।
ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক সাধন বসু বলেন, “এই সিদ্ধান্তে জলপাইগুড়িবাসীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা মন্ত্রী গৌতম দেবকে চিঠি পাঠাচ্ছি।’’ জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের পরিষেবা অস্থায়ীভাবে চালু হতে চলেছে। বাসিন্দাদের দাবি, তা চালু হলে জলপাইগুড়িতে বিচারক, আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচারপ্রার্থীদের আনাগোনা বেড়ে যাবে। তখন এমনিতেই বাসের চাহিদাও বাড়বে।
জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, “শুধু ভবিষ্যতে সার্কিট বেঞ্চের কাজে আসা লোকজনই না। পর্যটকদেরও সুবিধে হবে।’’
একসময় জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত রকেট বাসের পরিষেবা ছিল। সেই বাসে জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে আসন থাকত। তা শেষ হলে বাকি যাত্রীরা শিলিগুড়ি থেকে উঠতেন। ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ ট্রেনের টিকিট না পেলে রকেট বাসে যাতায়াত করতেন। জলপাইগুড়ি থেকে রকেট বাস এখন আর চলে না।
নর্থবেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের যুগ্ম সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, “ভলভো বাস চালু হলে জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের কলকাতায় যাতায়াতের সুবিধা হবে। সোমবার আমরা সভায় বসছি। তারপর পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের কাছে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে।”
রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর এবং পরিবহণ দফতর মিলে ভলভো বাস পরিষেবা চালু করছে। বাসিন্দাদের দাবির বিষয়ে পরিবহনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা যাতে ভলভো বাসের পরিষেবা পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy