শৈলশহর দার্জিলিং-কে ছুঁয়ে দেখার সেই পুরনো রোমান্স ও-পারে ফেরাতে তৎপর হল দুই দেশ।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে শেষ বার ট্রেন চলেছিল ভারতের হলদিবাড়ি ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চিলাহাটির মধ্যে। আগামী এক বছরের মধ্যে ওই লাইনে ফের ট্রেন চালানোর স্বপ্ন দেখছে দু’দেশের সরকার। একই সঙ্গে জলপথ ভ্রমণে উৎসাহ দিতে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ক্রুজ পরিষেবা শুরুর বিষয়েও ভাবনা চলছে।
আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর ও বাংলাদেশের বিরোলের মধ্যে প্রায় তিনশো মিটার দীর্ঘ মিটার গেজ লাইন তুলে ব্রড গেজ লাইন পাতা হয়েছে। দু’তরফেই তৈরি হয়েছে শুল্ক দফতরের ইউনিট। এই লাইন চালু হলে দু’পক্ষের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যের সুযোগ বেড়ে যাবে। ঠিক হয়েছে, শেখ হাসিনার ভারত সফরে ওই প্রকল্পটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লি থেকে উদ্বোধন করা হবে।
ওই প্রকল্পের পরে এখন বাংলাদেশ চাইছে, আগামী বছরের মধ্যেই ট্রেন পরিষেবা শুরু হোক হলদিবাড়ি ও চিলাহাটির মধ্যেও। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষ ট্রেনে হলদিবাড়ি হয়ে সোজা পৌঁছে যেতে পারবেন দার্জিলিং-এ। ওই লাইনে হলদিবাড়ি হবে ভারতীয় সীমান্তের শেষ স্টেশন। তাই অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য ওই স্টেশনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজেও হাত দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। কিছু জায়গায় জবরদখল হাটিয়ে ভারতের অংশে থাকা সাড়ে চার কিলোমিটার লাইন পাতার প্রস্তুতি শুরু করেছে রেল। অন্য দিকে চিলাহাটি স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত এই সাড়ে সাত কিলোমিটার লাইন আগামী বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা।
প্রাথমিক সমীক্ষার পরে দু’দেশই মনে করছে, নদীপথেও পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই চলতি সফরে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে একটি ‘রিভার ক্রুজ’ পরিষেবা সংক্রান্ত মউ সই হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিক হয়েছে, কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ওই ক্রুজ ছুঁয়ে যাবে হলদিয়া, সুন্দরবন, খুলনা, বরিশাল ও চাঁদপুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy