টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়া ‘রঞ্জন’-এর 'কীর্তি' অজানা নয় এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের। প্রকাশ্যে সে কথা তাঁরা স্বীকারও করছেন। বনগাঁ-বাগদা এলাকার মানুষও চাইছেন, এই চক্রের কার্যকলাপ সামনে আসুক। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে কার্যত রাজি নয় কোনও রাজনৈতিক দলই। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে তদন্তে নামতে রাজি নয় পুলিশ-ও।
রঞ্জনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই এ নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। তার পরেও কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে এগোচ্ছে না পুলিশ? বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদারকে এ প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, শাসকদল না চাইলে পুলিশ এ ব্যাপারে বাড়তি তৎপরতা দেখাবে না। তবে লিখিত অভিযোগ এলে তদন্ত শুরু হতে পারে। কিন্তু লিখিত অভিযোগ করবে কে? এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাবও কার্যত গা-ছাড়া। যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পাননি বলে এদিক-ওদিক বলে বেড়াচ্ছেন, সামনে আসতে চান না তাঁরাও।
সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের একটি পুরনো ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানেই ‘রঞ্জন’-এর কথা বলেছিলেন উপেন। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহু চাকরিপ্রার্থীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছে এই ‘রঞ্জন’ (আনন্দবাজার অবশ্য ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ভিডিয়োটি যে তাঁরই, তা অস্বীকার করছেন না উপেনবাবু।) রঞ্জনের প্রকৃত নাম-ধাম প্রকাশ করেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রে লেখালেখি হতেই বিবৃতি দিয়েছেন স্থানীয় অনেক নেতাই। অনেকেরই দাবি, রঞ্জনের প্রকৃত পরিচয় ও কার্যকলাপ সম্পর্কে ভালই জানেন তাঁরা।