বেতন কমিশন গঠন হয়েছে, কিন্তু বর্ধিত বেতন সরকারি কর্মচারীরা কবে থেকে পাবেন তার কোনও ইঙ্গিত রাজ্য বাজেটে নেই। বরং কর্মচারীদের বেতন-পেনশন খাতে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যে সামান্য টাকা বরাদ্দ করেছেন, তাতে ২০১৬-১৭ সালে অন্তত বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ।
দ্বিতীয় দফায় জয়ের পর নবান্নে এসেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেতনের ১০% অন্তর্বর্তিকালীন বৃদ্ধি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পে-ব্যান্ডের উপর বর্ধিত সেই টাকা কর্মচারীরা পাবেন জুলাই মাস থেকে। মূল বেতনের পরিবর্তে পে-ব্যান্ডের উপর অন্তর্বর্তিকালীন ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মচারীরা এমনিতেই খুশি নন। তার উপর আগেই ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন হয়ে যাওয়ায় আপাতত মহার্ঘভাতার দাবিও আর মানবে না সরকার। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ফারাক প্রায় ৫০%-র বেশি রয়েই যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কর্মচারীদের আশা ছিল, রাজ্য বাজেটে এ ব্যাপারে স্পষ্ট দিশা মিলবে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এ প্রসঙ্গে বলেন,‘‘আগে কমিশন সুপারিশ করুক! তার পর সরকার এ নিয়ে ভাববে। কমিশন যেমন বলবে সরকার তেমনই সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই এ নিয়ে কিছু বলা অনুচিত।’’
রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। দু’দফায় কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোও হয়েছে। বিকাশ ভবনে কমিশনের অফিসও চলছে। এক অর্থ কর্তা জানান, বেতন কমিশনের কাজ এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। ফলে এ বছরের মধ্যে কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে এমন সম্ভাবনা কম। সেই কারণেই বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়নি। যে সামান্য বরাদ্দ করা হয়েছে তা রুটিন ইনক্রিমেন্ট দিতেই চলে যাবে।