চৌরাস্তা এলাকায় প্রস্তাবিত বাজার তৈরির পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন চলছেই। মঙ্গলবারও দার্জিলিঙের চৌরাস্তায় হর্কাস মার্কেট নির্মাণের পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি স্মারকলিপি জমা পড়ল দার্জিলিং জেলাশাসকের দফতরে। জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “রুজি রোজগারের জন্য হকাররা দ্রুত বাজারভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। অন্য দিকে পরিবেশের ভারসাম্যের কথা বলে, নির্মাণের প্রতিবাদ করেও স্মারকলিপি দিয়েছে শহরের একটি ক্লাব। ওই নির্মাণের জন্য পরিবেশের কোনও ক্ষতি বা গাছ কাটার আশঙ্কা যে নেই, তা ক্লাবকে জানানো হয়েছে।”
চলতি বছরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চৌরাস্তায় হর্কাস মার্কেট নির্মাণের শিলান্যাস করেছিলেন। সম্প্রতি চৌরাস্তায় ওই মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদ করে মিছিল-বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গও হর্কাস মার্কেটকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আর্জি জানান। এ দিন মঙ্গলবার মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদ করে শহরে মিছিল করে, জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে দার্জিলিঙের একটি ক্লাব। অন্যদিকে, এ দিনই তৃণমূল প্রভাবিত হর্কাস সংগঠনের তরফে দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে।
মর্নিং হেলথ্ ক্লাবের ব্যানারে এ দিন চৌরাস্তা থেকে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। শুধু চৌরাস্তা নয়, ম্যালের লাগোয়া এলাকাতেও নতুন করে কোনও নির্মাণের অনুমতি না দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ওই ক্লাবের তরফে। ক্লাবের সভাপতি শেরিং দোরজি ভূটিয়া বলেন, “চৌরাস্তা এবং ম্যাল দু’এলাকাতেই যে কোনও ধরণের নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। দার্জিলিং শহরের পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য এই পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজনীয়। গোটা শহরের সৌন্দর্যও চৌরাস্তা এবং ম্যালের উপরে নির্ভরশীল। তার ক্ষতি করা ঠিক নয়।”
তৃণমূল প্রভাবিত আস্থা হর্কাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আবার স্মারকলিপি দিয়ে পাল্টা পুরসভার দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার সিদ্ধান্তকে ঘিরেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ভরত সুব্বা বলেন, “বাজার ভবন তৈরির জন্য চৌরাস্তাই সবচেয়ে ভাল জায়গা। এখানে নির্মাণ করলে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমাদের রুজি রোজগার এর উপরে নির্ভর করছে। দ্রুত বাজার ভবনের কাজ শেষ করা হবে।” তাঁর দাবি, পুরসভাই শহরবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে। তাঁর অভিযোগ, “ম্যাল এলাকায় একাধিক নির্মাণ হয়েছে, নতুন করে আরেকটি হর্কাস মার্কেটও তৈরি হয়েছে। তখন পুরসভা কোনও আপত্তি করেনি। এখন পুর কর্তৃপক্ষ নানা অছিলায় ভবন তৈরিতে বাধা দিচ্ছে।” দার্জিলিং পুরসভার অমর রাই অবশ্য বলেন, “শহরের বিভিন্ন ক্লাব প্রতিবাদ করছে, তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy