বঞ্চিত: স্মারকলিপি দিয়ে বেরোচ্ছেন কৃষকেরা। নিজস্ব চিত্র
দু’বছর আগে সহায়ক মূল্যে সরকারি শিবিরে ধান বিক্রি করেছিলেন। পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিসে ঘুরে আশ্বাসের পর আশ্বাস পেয়েছেন, কিন্তু ধান বিক্রির টাকা মেলেনি ৮ কৃষকের। বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়ার ঘটনা। সোমবার ওই কৃষকেরা বালুরঘাটে এসে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়ে ধান বিক্রির টাকার দাবিতে পরিবার নিয়ে অনশনে বসার হুমকি দিলেন।
২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বিক্রি করা ধানের টাকা আজও পাননি ওই আট কৃষক। সে সময় গাঙ্গুরিয়ার চাষিরা বনমালীপুর এবং গাঙ্গুরিয়া সমবায় সমিতিতে ধান বিক্রি করেন। সে সময় ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য ছিল কুইন্টাল পিছু ১৪৭০ টাকা। বিক্রির পরে স্থানীয় কৃষকদের দেওয়া হয় টাকার কুপন। কিন্তু প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও বিক্রির প্রাপ্য টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। ওই অঞ্চলের কৃষক আজিজুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী আবুলআরা বেগম ১০ কুইন্টাল করে ধান বিক্রি করে ১৪,৭০০ টাকা, মাসুদ করিম ১১ কুইন্টাল ধান বেচে প্রায় ১৭ হাজার টাকা, আসরাফুল কালাম ১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করে ২৩ হাজার ৫০ টাকা পান বলে দাবি করেন।
তাঁরা আট জন এ দিন জানান, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসন, খাদ্য সরবরাহ দফতর, বিডিও ও ওই দু’টি সমবায়ের কাছে লিখিত ভাবে টাকা চেয়ে আবেদন করা হলেও মেলেনি প্রাপ্য টাকা।
কৃষক ফিরোজ খান অভিযোগ করেন, এলাকার অনেক কৃষকই ধান বিক্রির পরে টাকা পাননি। এর প্রতিবাদে তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে পরিবার নিয়ে বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ামক অমরেন্দ্র রায় বলেন, ‘‘কনফেডের মাধ্যমে দু’টি সমবায়ের কাছে ওই ধান বিক্রি করেও তাঁরা টাকা পাননি। টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য ওই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। রাজ্যস্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বকেয়া মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy