Advertisement
E-Paper

ঝাড়খণ্ড থেকে এসে রাস্তায় খেলনা বেচছে ছোট্ট কৃষ্ণ

বাবা বিপুল প্রামানিক সেখানেই কখনও রাজমিস্ত্রির জোগানদার, কখনও দিনমজুরি করেন। রোজ কাজও মেলে না।

জয়ন্ত সেন 

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ০৬:৫৯
শৈশব: কাজে ডুবে। নিজস্ব চিত্র

শৈশব: কাজে ডুবে। নিজস্ব চিত্র

এখনও শৈশব কাটেনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রটির। চার ভাই, বাবা-মাকে নিয়ে সংসার। পেশায় দিনমজুর বাবার একার রোজগারে সংসার চলে না। করোনা আবহে বন্ধ স্কুলও। তাই এই বয়সে গঙ্গা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে এসে মালদহের রাস্তায় দিনভর ঘুরে ঘুরে সে বিক্রি করছে খেলনা। ফুটপাতের হোটেলেই খাওয়া, রাত কাটে কোঠাবাড়ির একটি দোকানের বারান্দায়। গত পাঁচ মাস ধরে এই রোজনামচা ১৪ বছরের কৃষ্ণ প্রামাণিকের।

কৃষ্ণর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজমহলে। বাবা বিপুল প্রামানিক সেখানেই কখনও রাজমিস্ত্রির জোগানদার, কখনও দিনমজুরি করেন। রোজ কাজও মেলে না। মা গায়ত্রীদেবী ঘরের কাজ সামলান। চার ভাইয়ের মধ্যে বড় কৃষ্ণ। সে জামনগর মধ্য বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। পরের ভাই ১১ বছরের লবকুশ পঞ্চম, ৯ বছরের রাজা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাই, পাঁচ বছরের সোনু এখনও স্কুলে ভর্তি হয়নি। কৃষ্ণর দাবি, করোনা আবহে প্রথম লকডাউনের পর থেকেই বাবার রোজগার কমে যায়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। এখনও একই পরিস্থিতি। সে কারণেই সংসার সামাল দিতে মালদহের জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরে এসে শিশুদের খেলনা বিক্রি করছে সে।

কৃষ্ণ বলে, ‘‘বাবার কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে এসে ব্যবসা শুরু করি। দিনভর শহরে ঘুরি। যে সব ওষুধের দোকানের চেম্বারে শিশু চিকিৎসক বসেন, তার বাইরে খেলনা বিক্রি করে দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার হয়।’’ কৃষ্ণ জানায়, টাকা জমিয়ে একেবারে দুর্গাপুজোর আগে বাড়ি যাবে। ফোনে কৃষ্ণর বাবা বলেন, ‘‘কৃষ্ণর মতো এই বয়সে কেউ এভাবে কাজ করে না। কিন্তু সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই ওকে কাজে নামতে হয়েছে।’’

Jharkhand Malda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy