চোর অপবাদে থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধোরের অভিযোগ উঠল হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে৷
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়৷ ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ওই ব্যক্তিকে৷ অভিযোগ শুনে জেলার পুলিশ কর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন৷ এ দিনই গোটা ঘটনা জানিয়ে রাজারামবাবুর তরফে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের দফতরে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এখনও কোনও অভিযোগপত্র আসেনি৷ তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজারাম নাগ দিনবাজার এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন৷ রবিবার রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় থানার পাশে একটি গলির মুখে তাঁর সঙ্গে এক পরিচিতর দেখা হয়৷ অভিযোগ তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়ই এক হোমগার্ড ও কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার প্রথমে মদ খাওয়ার অপবাদে ও পরে চুরির অপবাদে তাকে মারধর শুরু করে৷ এমনকী, থানার ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়েও চলে মারধর৷
সোমবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রাজারামবাবু বলেন, “ওই হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রথমে আমার বিরুদ্ধে মদ খাওয়ার মিথ্যা অপবাদ দেয়৷ আমি ঘটনার কথা অস্বীকার করলে, ওরা থানার পিছন থেকে জিনিস চুরির মিথ্যা অপবাদ দেয়৷ কিন্তু আমি ওই অভিযোগও অস্বীকার করলে ওরা গালাগালি দিতে দিেত আমায় মারতে শুরু করে৷ এবং টানতে টানতে থানার ভেতরে নিয়ে যায়৷ সেখানেও আমায় বেধরক মারধর করে ৷ পরে কয়েকজন পরিচিত এসে পি আর বন্ডে আমায় ছাড়িয়ে নিয়ে যান৷”
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি শহরের তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা অজয় সাহার কথায়, “রাজারামবাবু আমাদের দলেরই কর্মী৷ অনেকদিন ধরে তাকে চিনিও৷ পুলিশ যে ধরনের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে থানায় নিয়ে মারধর করেছে, তা কখনওই মানা যায় না৷ আমরা চাই দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক৷”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy