Advertisement
E-Paper

অ্যাডমিটই আসেনি ৫০ পরীক্ষার্থীর

নির্ধারিত সময় মেনে পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করলেও আসেনি অ্যাডমিট কার্ড। যার জেরে পরীক্ষায় বসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা কলেজগুলোর পঞ্চাশ জন পডুয়ার। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশ দিনহাটা কলেজের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৪

নির্ধারিত সময় মেনে পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ করলেও আসেনি অ্যাডমিট কার্ড। যার জেরে পরীক্ষায় বসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা কলেজগুলোর পঞ্চাশ জন পডুয়ার। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশ দিনহাটা কলেজের। সমস্যা না মিটিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে বলে অভিযোগ। যার জেরে বছর নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে ওই পড়ুয়াদের।

আজ, বৃহস্পতিবার থেকে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা কলেজগুলিতে স্নাতক (সাধারণ) বর্ষের পরীক্ষা শুরু হবে। অ্যাডমিট না পাওয়া পড়ুয়াদের কেউ প্রথম বর্ষের, কেউ দ্বিতীয় বর্ষের। তাঁদের অভিযোগ, অ্যাডমিড কার্ড না আসার বিষয়টি বার বার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি। এ বিষয়ে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ রায় বলেন, “কলেজ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। কেউ অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার বিষয়টি কলেজের।”

উল্টোদিকে দিনহাটা কলেজের অধ্যক্ষ সাধন করের দাবি, “বেশ কিছুদিন আগেই অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার বিষয়টি লিখিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে জানিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফর্ম পূরণের জন্য সময় চাই। তা না দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া কিছু পড়ুয়া ফর্ম পূরণ করলেও যথাযথভাবে জমা দেননি।”

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলির পরীক্ষা এপ্রিল মাসের গোড়া থেকেই শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে পাসের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা শুরু হবে। দিনহাটা কলেজে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার পড়ুয়া ওই বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছেন। মার্চ মাসে ফর্ম পূরণের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। সেসময় অনেকেই ফর্ম পূরণ করতে পারেননি। যার ফলে ফের ফর্ম পূরণের জন্য ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল এই দু’দিন অতিরিক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ৩১ মার্চ বিকেলে। ফলে আসলে কলেজগুলি একদিন সময় পায়।

এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, তাঁরা ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার পরেও তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মাহপুজা পারভীন বলেন, “সারা বছর পড়াশোনা করেছি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। এভাবে আমাদের এক বছর নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।”

Admit card Students Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy