ডেঙ্গি আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুতে ফের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে বালুরঘাট হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতের নাম অশোক সরকার (৫০)। বালুরঘাটের চকভৃগু অঞ্চলের ডাকরা এলাকার বাসিন্দা, পেশায় সব্জি বিক্রেতা অশোকবাবু কয়েক দিন থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকবাবু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখানোর পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ দিন সকালে অশোকবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের সুপার থেকে কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পুজোর ছুটিতে রয়েছেন। ভর্তির পর অশোকবাবুর দীর্ঘক্ষণ কোনও চিকিৎসা হয়নি। সুরাহা পেতে সুপার থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের খোঁজ করেও কারও হদিশ মেলেনি। সময় মতো চিকিৎসা হলে তাঁর প্রাণ যেত না বলে আত্মীয়রা অভিযোগ করে তুমুল ক্ষোভ দেখান।
বালুরঘাটের ওই ডাকরা গ্রামে একাধিক বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত বলে খবর পেয়েও সেখানে স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে ফোন ধরেননি। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রদীপ ধর রোগী মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা বলার বলবেন। অবশ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন, অশোকবাবু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন।
চলতি বছরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে ডেঙ্গি রোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। এ যাবত বালুরঘাট ব্লক এবং শহর মিলিয়ে অন্তত ১৪০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার পরে তাঁদের রোগ সেরে গেলেও ডেঙ্গির জীবানু বাহক মশা রয়ে গিযেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরে এ পর্যন্ত ২৪৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগের প্রকোপ অব্যাহত।
কারণ, পুরসভা এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত থেকে এলাকায় নোংরা ও জঞ্জাল সাফাই থেকে মশা মারতে তেমন উদ্যোগ নেই। পুজোর আগে বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুর ও হিলি অঞ্চলের রোগাক্রান্ত কিছু এলাকায় জমা জল ও জঞ্জাল সাফাই করে সচেতনতার প্রচার হলেও বালুরঘাটের অন্য অঞ্চলে কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বালুরঘাটে নতুন করে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy