খাদ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে রেশনে নিম্ন মানের চাল বিলির নালিশ জানালেন শাসক দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে ধান ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা সভায় গিয়ে দলের নেতার মুখে এই অভিযোগ শুনে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পরে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান চালানো হবে। অভিযানে দুর্নীতি ধরা পড়লে খাদ্য দফতরের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
তার আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ তজবুর রহমান মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘ব্লকে ৩৭ জন রেশন ডিলার রয়েছে। অধিকাংশ রেশন ডিলার নিম্নমানের চাল সরবরাহ করেন। একই সঙ্গে ওজনেও কারচুপি করেন। সাধারণ মানুষ প্রায়ই রেশনে নিম্নমানের চাল দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান।’’
তার আগে এ দিন সকালে বালুরঘাটে খাদ্য দফতর ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ধান সংগ্রহের খতিয়ান নেন মন্ত্রী। ধান সংগ্রহে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র উদ্বৃত্ত জেলার তকমা পেয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর। বালুরঘাটে সরকারি বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী জানান, ধান সংগ্রহে রাজ্যে প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার উদ্বৃত্ত চাল পাঠানো হবে দার্জিলিং এবং মালদহে। সেই সঙ্গে এফসিআই-কেও দু’দফায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করা হবে। খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘শর্ত একটাই। অন্ধ্র এবং ছত্তীসগঢ়ের চালে নয়, এফসিআইকে এ জেলার চালই মিডডে-মিল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরবরাহ করতে হবে।’’
খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘নোটবন্দির কারণে এ বার দেরিতে ধান সংগ্রহে নেমেও দক্ষিণ দিনাজপুর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান সংগ্রহ করেছে। এ বছর এফসিআই ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ফেল করায় তারা আমাদের কাছে চাল চেয়েছে। দু’দফায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল এফসিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ এই জেলায় এগারো হাজার মেট্রিক টন খাদ্য
শস্য সংরক্ষণের জন্য হিমঘর তৈরির কথাও বলেছেন মন্ত্রী।