কেন্দ্রের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে ২০০৮-২০০৯ সালে বরাদ্দ করা প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা কালিম্পং মহকুমার বনবস্তির বাসিন্দাদের উন্নয়নে এখনও খরচ হয়নি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে বন উন্নয়ন নিগম তথা ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন হিমালয়ান ফরেস্ট ভিলেজার্স অর্গানাইজেশন।
সংগঠনের আহ্বায়ক ববিত গুরুঙ্গের অভিযোগ, এ বিষয়ে জানতে চাইলেই বন উন্নয়ন নিগমের কালিম্পং শাখার ডিভিশনাল ম্যানেজারের তরফে হচ্ছে-হবে বলা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। মে মাসে তথ্য জানার অধিকার আইনে বরাদ্দ অর্থ খরচের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। সে কারণে এ বার বনমন্ত্রী থেকে বন উন্নয়ন নিগম, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ওই টাকায় উন্নয়ন কাজ শুরু না হলে তাঁরা কালিম্পং মহকুমায় বন উন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন অফিস এবং রিসর্ট বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘বিস্তারিত খোঁজ নেব। কাজ না হলে কেন হয়নি, কোনও অনিয়ম রয়েছে কি না, নিশ্চয়ই দেখা হবে।’’ অভিযোগ, বরাদ্দ ওই অর্থ ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির হাতে রয়েছে। বন উন্নয়ন নিগমের কালিম্পঙের ডিভিশনাল ম্যানেজার তার সিইও। তাদের তরফেই তা দেখার কথা। গত চার বছরের বেশি ওই পদে রয়েছে সমীর গজমেঢ়। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য গোড়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। ২০১১ সালে পাহাড়ে আন্দোলনের সময় রিসর্ট পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও হয়েছে। পরিস্থিতির জেরে উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার কাজ করা যায়নি। পরবর্তীতে তালিকা তৈরি হলেও সেগুলি সংশোধন করা, প্রার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরিতে সময় লেগেছে। তাতেই ‘দেরি’। তবে বছর দু’য়েক হল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তাঁর দাবি। জানান, কয়েক ধাপে ওই অর্থ খরচ হবে।
তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দফায় বরাদ্দ অর্থে ১৩৮ জনের ঘর সংস্কার কাজ হবে। ঘর তৈরির টিন আনা হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরির টাকাও প্রার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে শীঘ্রই দেওয়া হবে। প্রতিটি বাড়ির জন্য ৪৫ হাজার টাকা পাবেন প্রার্থীরা। শৌচালয় তৈরির টাকা বিলি করা হবে।’’ সমীরবাবুর দাবি, দু’দিন আগে হিমালয়ান ফরেস্ট ভিলেজার্স অর্গানাইজেশনের এক কর্মকর্তার সঙ্গেও আলোচনায় তা জানিয়েছেনও।
সংগঠনের আহ্বায়ক ববিত গুরুঙ্গ জানান, গত আট বছরে ওই বরাদ্দ অর্থে কোনও উন্নয়ন কাজ কালিম্পং মহকুমায় হয়নি। এখানে ৬৮ টি বনবস্তিতে ৫০ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আশঙ্কা করছি ওই টাকা নষ্ট করা হয়েছে। অথবা অন্য কোনও কাজে খরচ করা হয়েছে। সে কারণে তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হলেও উত্তর দেওয়া হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy